প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। নভেম্বর এর শুরু আর কার্তিকের মধ্যবর্তী এই সময় শিশির ভেজা সকালই গ্রামীণ জনপদে জানান দেয় শীতের সূচনা বার্তা। মীরসরাই উপজেলার গ্রামীণ জনপদে এখন সারাদিন নাতিশীতোষ্ণ হলেও ভোরের হিমেল হাওয়ায় পাতলা একটা কাঁথা এখন গ্রামে লাগছেই। এতেই যেন শীত আসছে তাই প্রতীয়মান।
মীরসরাই উপজেলার উপজেলার নাহেরপুর, করেরহাট, খৈয়াছরা, হাইতকান্দি, সাহেরখালীসহ অনেক গ্রামেই এই ফুল চোখে পড়ার মতো এখনো দেখা মিলে।
শিউলির রয়েছে আলাদা কদর। সূর্যদেব সুন্দরী শিউলিতে তৃপ্ত না হয়ে অন্য নারীতে আসক্ত হলে শিউলি প্রচণ্ড ঘৃণায় তাকে ত্যাগ করেন। শিউলির আদি নিবাস ভারতে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষিণ–পূর্ব থাইল্যান্ড থেকে পশ্চিমে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, উত্তরে নেপাল অঞ্চল পর্যন্ত শিউলি ফুলের দেখা পাওয়া যায়। শিউলি গাছের শাখা–প্রশাখা ও কান্ড মাঝারি শক্ত মানের। উচ্চতা প্রায় ৫ থেকে ৭ মিটার। মোটামুটি সব ধরনের মাটি এবং রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে শিউলি গাছ ভালো জন্মে। পাতার রং সবুজ, মধ্যশিরা স্পষ্ট, অগ্রভাগ সূঁচালো। গাছের পাতাগুলো ৬ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা ও সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী থাকে। শিউলি ফুলে রয়েছে পাঁচ থেকে সাতটি সাদা বৃত্তি ও মাঝে লালচে–কমলা টিউবের মতো বৃন্ত।
মিষ্টি সুগন্ধির শিউলি ফুল কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, এর রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। ফুলের বীজ খুশকি দূর করে। পাতা কৃমিনাশক। শিউলি পাতার রস জ্বর নিরাময়েও কার্যকরী। এছাড়াও বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে শিউলির ফুল, পাতা ও বাকল ব্যবহার করা হয়।