শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি, শাপলা ও জুলাই গণহত্যাকারী ও তাদের দোসরদের দ্রুত বিচারের দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইনসাফ মঞ্চ। গতকাল বুধবার রাত ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের জামালখানে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিল আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ কায়েম করে দেশে ফ্যাসিবাদ গড়ে তোলা হয়েছে উল্লেখ করে শাহবাগ আন্দোলনকারীদের বিচার দাবি করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, শাহবাগের ঠাঁই নাই’, ‘শাহবাগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শাপলা হত্যার বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে’, ‘শাহবাগীদের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘ল তে লাকী, তুই হাসিনা তুই হাসিনা’ ‘ই তে ইমরান, তুই হাসিনা তুই হাসিনা’, ‘শাহবাগের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘দালালি না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’সহ নানা স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ইবনে হোসাইন জিয়াদ বলেন, তোমরা যতবার শাহবাগ তৈরি করবে আমরা ততবার ইনকিলাব তৈরি করবো, ইনসাফ তৈরি করবো। তোমরা জমিনে জুলুম লিখবে, আমরা আসমানে ইনকিলাব লিখে দেব। তোমার যে বিচারহীনতার বাংলাদেশ তৈরি করেছো আমরা বিচারের বাংলাদেশ তৈরি করে তোমাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো। এটা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাংলাদেশ, এটা আলেম ওলামার বাংলাদেশ, এটা আল্লামা সাঈদীর বাংলাদেশ, এ বাংলাদেশে আর কখনো শাহবাগ উত্থান হতে দেওয়া হবে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের বলেন, শাহবাগীরা মনে করেছিল জুলাইয়ের বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে গেছে। যখনই শাহবাগীরা আসবে তখনই বিপ্লবীরা জেগে উঠবে। ২০১৩ সালে তারা যে শাহবাগ তৈরি করেছিল সেটার মাধ্যমে আব্দুল কাদের মোল্লা থেকে শুরু করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পর্যন্ত যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকটি বিচারের পুনঃবিচার করে দায় মুক্তি দিতে হবে। শাপলা চত্ত্বরে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। তাদের কবরের সন্ধান দিতে হবে। এ গণহত্যার জন্য যারা ইন্ধন দিয়েছিল তাদের বিচার করতে হবে। যতক্ষণ না শাহবাগের কসাই লাকীকে এবং শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে এনে বিচারের আওতায় না আনা হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ২০১৩ সালে লাকী আক্তারদের হাত ধরে খুনি স্বৈরাচারী হাসিনার ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছিল। তাকে সবাই কসাই হিসেবে চিনে। আমরা লাকীর বিচার চাই। দেশদ্রোহী, শাহবাগের কসাই লাকী আক্তারের দ্রুত গ্রেপ্তার চাই।