শাহজাহান ওমরের মনোনয়ন কৌশলগত : কাদের

বিএনপির ১৫ কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাবেক ৩০ সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন

| শনিবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

একদিনের মধ্যে দল পাল্টে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে নাম লিখিয়ে নৌকার প্রার্থী হয়ে যাওয়া শাহজাহান ওমরকে কৌশলগত কারণে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দাবি করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৫ জন নেতা ছাড়াও ৩০ জন সাবেক সংসদ সদস্য দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকলেও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরের আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি১ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়। শাহজাহান ওমরকে বিএনপি বহিষ্কারও করেছে। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান ওমরের প্রসঙ্গটি তোলা হলে কাদের বলেন, কৌশলগত কারণেই শাহজাহান ওমরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির ১৫ কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাবেক ৩০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০টি নিবন্ধিত রাজনীতির দল নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন। এটা একটা বড় সাফল্য। বিএনপির অনেকে অংশ নিচ্ছেন। আমরা কয়জনের নাম বলব? একরামুজ্জামান, মনজুর আলম, শওকত মাহমুদ, তৈমুর আলম খন্দকার, শমশেন মবিন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসান হাবীব, একেএম ফখরুল ইসলামসহ ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা এবং শাহ মোহাম্মদ জাফর, মেজর আখতারুজ্জামানসহ সাবেক ৩০ জন সংসদ সদস্য এই নির্বাচন অংশগ্রহণ করছেন।

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢালাওভাবে সবাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে, বিষয়টা এমন নয়। ১৬ তারিখ পর্যন্ত দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, বিএনপি নামে একটি দল আজকে সহিংসতা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস করে এই নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার যে চক্রান্ত করছে। এখন আবার নতুন করে আন্দোলনের কথা বলছে। তারা তো আন্দোলন করছে। একটা হরতাল, একটা অবরোধ সফল হয়েছে এ পর্যন্ত? আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি একটাও সফল হয়নি। সন্ত্রাস করতে পেরেছে, আগুন সন্ত্রাস করতে পেরেছে। কিন্তু জনগণের অংশগ্রহণ, জনগণের সাড়া নিয়ে তারা কোনো আন্দোলন সফল করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে যে সহিংসতা, সন্ত্রাস করছে সে বিষয়ে টিআইবি কিংবা সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) তাদের মুখে কোনো কথা নেই। অথচ তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা প্রসঙ্গে বলেন, সম্পর্কের মাঝে টানাপড়েন বন্ধুত্বেরই অংশ। আমাদের তাদেরকে দরকার। আবার তাদের আমাদেরকেও দরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই বাছাই আজ থেকে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথম ট্রেনের যাত্রী, ছড়াল উচ্ছ্বাস