নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে দলের নিবন্ধনের জন্য শাপলা প্রতীক চেয়েই অনড় অবস্থান তুলে ধরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। সেইসঙ্গে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক কেন দেওয়া হবে না, গতকাল বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই ব্যাখ্যাও তারা চেয়েছেন কমিশনের কাছে। এদিন বিকাল ৪টা থেকে নির্বাচন ভবনে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন ও ইসি সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন এনসিপি নেতারা। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, শাপলা মার্কা ছাড়া এনসিপি কোনো প্রতীক নেবে না, সিইসিকে সেটা সাফ জানিয়ে এসেছেন। আর শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাখ্যা কী, সেই প্রশ্নও তারা তুলেছেন; তবে সিইসি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। খবর বিডিনিউজের।
নাসীরুদ্দীন বলেন, দুই ঘণ্টা আমরা উনাদেরকে (সিইসি ও সচিব) প্রশ্ন করেছিলাম যে প্রতীক প্রশ্নে যদি না দিতে চান, সেটাতে আপনার ব্যাখ্যা কী? দুই ঘণ্টা উনারা নিশ্চুপ ছিলেন। কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। উনাদের যে ধৈর্যশক্তি, সেটার আমরা যথেষ্ট প্রশংসা করি। আমরা এটা সবশেষ তাদের বলে এসেছি যে, যদি শাপলা না দেন তাহলে আপনাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং যেহেতু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে উনি আছেন। জাতীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা সংরক্ষণ করলে একইভাবে ধানের শীষ, তারা, কাঁঠাল, সোনালি আঁশও সংরক্ষণের দাবি তুলে ধরেন এনসিপি নেতারা। ইসির সামনে দুটি রাস্তা আছে মন্তব্য করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন ব্রিফিংয়ে বলেন, একটি হল ধান (ধানের শীষ) বাতিল করা, তারা বাতিল করা, সোনালি আঁশ বাতিল করা, অথবা শাপলা দেওয়া। আমরা আশা করি ভাতৃপ্রতিম অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন রয়েছে, আমরা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ যে কারোটাই বাতিল না হোক। সুতরাং আমরা শাপলা পেতে আইনি বাধা এবং রাজনৈতিক বাধা কোথাও দেখছি না। এজন্য আমরা আশাবাদী শাপলা পাব। সে বিষয়টা আমরা জানিয়ে এসেছি ওনাদেরকে। ওনারা এ বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলেন।
নাসীরুদ্দীন বলেন, কোনো উত্তর দিতে না পারায় উনারা এটাতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন বলে মনে করি। যেটা আমরা বিবাহের ক্ষেত্রে দেখি সম্মতি প্রকাশ করে থাকেন। ‘সো ইটস নট দা ফান, আই এম টকিং এ সিরিয়াস ম্যাটার’। পাটওয়ারী বলেন, আমরা উনাদেরকে বলে দিয়েছি যে নিবন্ধন যদি আমাদেরকে দিতে হয় সেটা শাপলা দিয়েই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপি নিবন্ধন হবে না এবং এনসিপিও শাপলা ছাড়া নিবন্ধন মানবে না। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটে অথবা এই বিষয়ে যদি চ্যালেঞ্জ বা অবস্টেকল সৃষ্টি করে থাকে এটা নির্বাচন কমিশন কিছুটা দায়ী থাকবে।
বৈঠকে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহও ছিলেন।