প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মোহনীয় এক ক্যাম্পাসের নাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। পুরো ক্যাম্পাস যেন সবুজে মোড়ানো। ক্যাম্পাসের বাঁকে বাঁকে রয়েছে জীববৈচিত্র্যের বিশাল সমাহার। শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে গড়ে ওঠা এই ক্যাম্পাসজুড়ে যেন মৌনতা। সকালে শাটলের আওয়াজে ঘুম ভাঙে এ ক্যাম্পাসের। শাটলের বুকে-পিঠে চড়ে ক্যাম্পাসের পথে পা বাড়ায় হাজারো শিক্ষার্থী। প্রায় পৌনে ঘন্টার জার্নি শেষে শিক্ষার্থীরা শাটল থেকে নামতেই যেন আড়মোড়া ভাঙে ক্যাম্পাসের। মৌনতা ভেঙে যেন প্রাণ ফিরে আসে ক্যাম্পাসজুড়ে। নীরব ক্যাম্পাস নিমিষেই যেন প্রাণ ফিরে পায়। ভরে যায় লোকারণ্যে। দেশের তো বটেই সারা বিশ্বেও বর্তমানে একমাত্র শাটলের ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে সবুজে ঘেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়। হাটহাজারীর ফতেহপুরের জোবরা গ্রামে পাহাড়ঘেরা ২১শ একর সমতল-উঁচুনিচু পাহাড়ি ভূমিতে ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়।
শুরুর কথা : মাত্র চারটি (বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি) বিভাগে ২০৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের। যাত্রালগ্নে শিক্ষক ছিলেন মাত্র ৮ জন। প্রথম উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান (এ আর) মল্লিক।
বর্তমান চিত্র : হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৫৫ বছরে পদার্পণ করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। যাত্রালগ্নের চারটি বিভাগের স্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ৯টি অনুষদের অধীনে ৪৮টি বিভাগ রয়েছে। রয়েছে ৬টি ইনস্টিটিউট, ৫টি গবেষণা কেন্দ্র, অধিভুক্ত অনুষদ ১টি, অধিভুক্ত ইনস্টিটিউট ১টি এবং অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে ২৫টি। মোট শিক্ষার্থী ৫ম পৃষ্ঠার ৭ম কলাম
২৩ হাজার ৫৫৪ জন। মোট শিক্ষক ৯২৫ জন। কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ২ হাজার।
আবাসন: শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ১৪টি আবাসিক হল। ৯টি ছাত্রদের ও ৫টি ছাত্রীদের। এরমধ্যে তিনটি হল নির্মাণাধীন। আর সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য ২টি ছাত্রাবাস বর্তমানে নির্মাণাধীন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম শহরের বাদশা মিয়া সড়কস্থ চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী এসব হলে থাকার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন বাসা ও কটেজে থাকছে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী। বাকি সিংহ ভাগ শিক্ষার্থী শহরের বিভিন্ন বাসা ও মেসে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। শহরে থাকা এসকল শিক্ষার্থীর যাতায়াতের সুবিধার্থে একজোড়া শাটল ও একটি ডেমু ট্রেন চালু রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শাটলের তথ্য: শহর থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৮১ সালে চবিতে প্রথম শাটল ট্রেন চালু হয়। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম সুবিধা নেই। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়েও বর্তমানে শাটলের ব্যবস্থা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও কয়েক বছর আগে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সবুজ ঘেরা চবি ক্যাম্পাসই এখন বিশ্বে একমাত্র শাটলের ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিতি। ৩৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের বয়ে আনা এ শাটল যেন কালের সাক্ষী ও বহু ঐতিহ্যের ধারক। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার পথে পুরোটা সময়জুড়ে গানে-গানে মুখর থাকে শাটলের সবকয়টি বগি। দিনের পর দিন বগি চাপড়িয়ে গানে-গানে শাটল মাতিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরাই। রক-র্যাপের পাশাপাশি জারি-সারি, ভাটিয়ালি, প্যারোডি, পাহাড়ি ও বাংলা সিনেমার গানসহ এমন কোন গান হয়তো বাদ নেই, যা শাটলে গাওয়া হয় না। এ শাটলে বগি চাপড়িয়ে গান গেয়ে ইতোমধ্যে দেশবরেণ্য তারকার খেতাবও কুড়িয়েছেন অনেকেই। এরমধ্যে রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী নকিব খান, পার্থ বড়ুয়া ও এস আই টুটুলের মতো দেশ বরেণ্য শিল্পী। বিভিন্ন রকম ছড়া, কবিতা, গান আর আড্ডায় মুখরিত থাকে শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের আবেগের মিশেলে এটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।
দর্শনীয় স্থান: প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে বেশ কয়টি দর্শনীয় স্থান। যার মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন, হেলিপ্যাড, ঝর্ণা, ঝুলন্ত ব্রিজ, চালন্দা গিরিপথ, জীববিজ্ঞান অনুষদ পুকুর, প্যাগোডা, স্লুইচ গেট, ভিসি হিল, টেলি হিল, হতাশার মোড়, দোলা সরণী ও ফরেস্ট্রি অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য, মুক্তমঞ্চ, জারুলতলা, লাইব্রেরি চত্বর ও সুনামি গার্ডেন।
আন্দোলন-সংগ্রাম : ঊনসত্তরের গণ-অভ্যূত্থান, একাত্তরের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতীয় সব আন্দোলনেই সরব ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। যার ভূমিকায় ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ৮ জন বীর সেনানী শহীদ হয়েছেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন ভূষিত হয়েছেন বীর প্রতীক খেতাবে।
অর্জন: অর্জনেও পিছিয়ে নেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ ৫৪ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করেছে অনেক রথী-মহারথীর। বিশ্বখ্যাত ভৌত বিজ্ঞানী প্রফেসর ইমিরেটাস জামাল নজরুল ইসলাম এর মধ্যে অন্যতম। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংসহ অনেকের সান্নিধ্যে ছিলেন। জামাল নজরুলের অনেক গ্রন্থ আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিশ্বের খ্যাতনামা বেশকয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসেও তাঁর গ্রন্থগুলো পাঠ্যক্রম হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছে। দেশের একমাত্র নোবেল জয়ী ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর হাতে গড়া গ্রামীণ ব্যাংক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রাম থেকেই যাত্রা শুরু করে। সাহিত্যিক আবুল ফজল, ইতিহাসবিদ ড. আবদুল করিম ও ইউজিসির সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ঢাকা উত্তরের সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্যদিকে সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসান, আনিসুজ্জামান, আহমদ শরীফ, চিত্রশিল্পী মর্তুজা বশীর, চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরী, সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদের মত ব্যক্তিত্বরাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত আলোকচিত্র শিল্পী ফয়সাল আজিমও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ২০১১ সালে ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন তরুণ বিজ্ঞানী সাজিদ আলী হাওলাদার। তিনিও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
উপাচার্য: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রালগ্নে প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান (এ আর) মল্লিক। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
টিএসসির অভাব: প্রতিষ্ঠার এতবছর পরও একটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) পায়নি এই বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিনিয়ত যার অভাব বোধ করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আর টিএসসির অভাবে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ও হল সংলগ্ন ঝুপড়িগুলোই শিক্ষার্থীদের মূল আড্ডা স্থলের রূপ পেয়েছে। অবশ্য, আড্ডার পাশাপাশি গ্রুপ স্টাডি, সামপ্রতিক বিষয়াবলি নিয়ে বিতর্ক ও বিভিন্ন সংগঠনের সভাও চলে ঝুঁপড়িতে। দল বেঁধে গান আর বন্ধু-প্রেমিক যুগলের খুনসুঁটিও চোখে পড়ে।
নীরব চাকসু: বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ বছরে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন হয়েছে মাত্র ছয় বার। প্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও জিএস আবদুর রব। সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। তখন ভিপি নির্বাচিত হন নাজিম উদ্দিন, জিএস নির্বাচিত হন আজিম উদ্দিন ও এজিএস নির্বাচিত হন মাহবুবুর রহমান শামিম। ওই কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ২৭ জন। একই বছর ডিসেম্বরে নির্বাচনে হেরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্র ঐক্যের নেতা ফারুকুজ্জামান খুন হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকসুর সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তৎকালীন প্রসাশন। বন্ধ হয়ে যায় চাকসুর হল সংসদের কার্যক্রমও। ২৮ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত হয়নি চাকসু নির্বাচন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠন চাকসু নির্বাচনের দাবি তুললেও প্রসাশনের সদিচ্ছার অভাবে নির্বাচন হয়নি বলে দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীদের কথা: ৫৪ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশকে উপহার দিয়েছে অনেক জ্ঞানী-গুণী-বুদ্ধিজীবী। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কাজ জ্ঞান সৃজন ও বিতরণ বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সঠিকভাবে গবেষণা না হলে সত্যিকারার্থে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়। আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দীন বলেন, চবি আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে অবকাঠামো দিক থেকে। কিন্তু গবেষণায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আর ক্যাম্পাসে টিএসসি না থাকায় ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ভালোভাবে গড়ে উঠছে না। এছাড়া ক্লাসের বাহিরেও শিক্ষার্থীদের অনেক কিছু শেখার থাকে যেগুলো একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৃত জ্ঞানী হতে সহায়তা করে। কিন্তু সেগুলো কিছুই হচ্ছে না। ইতিহাস বিভাগের সাবেক আরেক শিক্ষার্থী বেলায়েত হোসেন বলেন, পূর্ণাঙ্গ আবাসিক না হওয়ায় ও শহর থেকে দূরে থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী থাকতে হয় শহরে। এতে ক্লাসের সময় ক্যাম্পাস জমজমাট থাকে, অন্য সময় নীরব। সব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে থাকতে পারলে তারা অনেক কিছু করতে পারতো। এখন আসা যাওয়াতেই অনেক সময় চলে যায়।
মাত্র চারবার সমাবর্তন: ৫৪ বছরে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র চারবার। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পর ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম সমাবর্তন হয় চবিতে। পরে ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় এবং ২০০৮ সালে তৃতীয় সমাবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন।
সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী: করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চবির ৫৪ বছরপূর্তি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু চত্বরে ফুল এবং সিনেট ভবনে আজ বুধবার কেক কাটবেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এরপর আজ বুধবার বিকেল ৩ টায় নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউটে চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের এক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উক্ত অনুষ্ঠানে থাকবে বেলুন উড়ানো, কেক কাটা ও আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিণ আখতার। কর্মসূচিতে রয়েছে বাদ জোহর চট্টেশ্বরী জামে মসজিদে করোনা ও অন্যান্য রোগে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী চবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আত্মার শান্তি কামনা, অসুস্থদের রোগমুক্তি কামনায় খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল।