শহর ছেড়ে গ্রামে ছুটছে মানুষ

গণপরিবহন না থাকায় পথে পথে ভোগান্তি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৯ জুন, ২০২১ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১ জুলাই পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা রয়েছে। সে সময় ঘর থেকে বেরুতেই মানা। এমন পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষ চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে গ্রামমুখী হচ্ছেন। শত দুর্ভোগ মাড়িয়ে দ্বিগুণ ভাড়ায় সিএনজি মাইক্রোতে করে গ্রামে ছুটছেন মানুষ। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁেটও ছুঁটছেন শতশত মানুষ।
গত দুইদিন ধরে দেখা গেছে, নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা, আক্সিজেন মোড়, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, সিটি গেট এলাকায় মানুষ আর মানুষ। বিশেষ করে যারা নগরীতে দিন মজুরি, ড্রাইভিংসহ ফুটপাতে ভাসমান ব্যবসা-বাণিজ্য করেন তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব খেটে খাওয়া মানুষ গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন।
গতকাল সকালে শাহ আমানত ব্রিজে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষের স্রোত। এসময় নগরীর রাইফেল ক্লাবের সামনের ফুটপাতের ব্যবসায়ী সাতকানিয়ার ইদ্রিসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে শহরে কেউ বাসা থেকে বের হতে পারবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছে শুনেছি। আমাদের ফুটপাতের ব্যবসাও বন্ধে হয়ে গেছে আজ(গতকাল) থেকে। কাউকে ফুটপাতে বসতে দেয়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগাম ঘোষণায় গ্রামের বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। যখন আবার লকডাউন তুলে দিবে তখন আবার ফিরে আসবো। একই সময়ে রিকশা থেকে নামলেন দোহাজারী ও ধোপাছড়ি এলাকার বাসিন্দা মামুন ও মহিউদ্দিন। তারা দুইজনই রাজমিস্ত্রি। বহদ্দারহাট এলাকায় একটি ব্যাচেলর বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ১ তারিখ থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা শুনে আগেভাগেই বাড়িতে চলে যাচ্ছেন বলে জানান তারা। নগরীর অক্সিজেন মোড়ে দেখা হয় ফটিকছড়ির বাসিন্দা রমিজ উদ্দিনের সাথে। তিনি ইপিজেড এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কথা প্রসঙ্গে রমিজ উদ্দিন বলেন, স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে-মা-বাবা সবাই বাড়িতে থাকেন। কঠোর লকডাউনের কারনে আগে ভাগে বাড়ি চলে যাচ্ছি। অনেক কষ্ট করে রিকশা করে করে এখানে এসেছি। এখান থেকে সিএনজি ট্যাঙিতে করে বাড়িতে চলে যাবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেই হাতির জোড় এখন ঘোলার চরে
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশ ও মহেশখালীতে বন্ধ দুটি বাল্যবিয়ে