চলছে শরৎকাল। এইতো সেদিন মাত্র বর্ষাকে বিদায় জানিয়ে প্রকৃতির রাজ্যে শরৎ এর আগমন হলো। প্রকৃতি তার নিজ নিয়মমতো বর্ষাকে বিদায় জানিয়ে ঋতু রাণী শরৎকে বরণ করে নিল। শরৎ মানে স্নিগ্ধতা, চারদিকে হালকা মিষ্টি একটা বাতাস। সাথে প্রকৃতি জুড়ে কি অদ্ভুত একটা যেন মিষ্টি সুবাস! নদীর তীরে সাদা–সাদা কাশফুল, আকাশে মেঘেদের ভেসে বেড়ানো এসবে বুঝতে বাকি রয় না, বর্ষা বিদায় আর শরৎবরণ‘র সময় চলে এসেছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই বলেছিলেন, ‘নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই, লুকোচুরির খেলা’। কিংবা, এই সময়ে প্রকৃতি যেন তার সব অপরূপ শোভা তার সমস্ত আলোর ছটা অঞ্জলি দেয় ঋতু রানী শরৎকে। রবিঠাকুর প্রকৃতির এ ভাবনাও যেন অনুভব করে লিখেছিলেন, ‘শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি। ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি’ আর তাই যেন আমাদের এই পল্লী প্রকৃতি এইসময় এভাবেই সাজে! ঋতু বৈচিত্র্যের বাংলাদেশে বারো মাসের ছয়টি ঋতু আমাদের এই প্রকৃতিকে প্রতিনিয়তই নতুন ভাবে সাজায়। সাথে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয় সবখানে। এই বাংলার বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিকরা বাংলার এই ভুবনভোলানো প্রকৃতির বন্দনা করে গেছেন তাঁদের সাহিত্যকর্মে। শরৎ মানেই ভালোবাসার ঋতু। প্রেমের ঋতু। স্নিগ্ধতা আর শুভ্রতার ঋতু। তাই সবাই নিজেকে ভালোবাসুন। অন্যকেও ভালো রাখুন। সাথে প্রকৃতির এই মিষ্টি সাজুগুজুগুলোকে উপভোগ করুন। মন খুলে হাসতে থাকুন। আর শরতে প্রকৃতি এভাবেই প্রতিবছর তার সমস্ত অরুণ আলোর অঞ্জলি দিয়ে শরৎকে বরণ করে নিক এটাই প্রত্যাশা।