বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের রুস্তক কাটা এলাকার মৃত আবুল কালামের কন্যা জন্নাতুল বকেয়া বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে দু,হাত হারিয়ে ফেলে। জন্নতুল বকেয়াকে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী হুইল চেয়ার, নগদ অর্থ সহায়তা ও শীতবস্ত্র প্রদান করেছে গতকাল সোমবার। জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের রুস্তক কাটা এলাকার মৃত আবুল কালামের চার কন্যার মধ্যে তৃতীয় ছিলেন জন্নাতুল বকেয়া। অভাবের সংসারের হাল ধরতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর বড় বোনের সাথে চট্টগ্রামের বাহির সিগন্যাল এলাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকুরি করে। ১৫ অক্টোবর ছুটির দিন ,ছিল বাসায় হঠাৎ বাতাসসহ বজ্রপাত শুরু হলে বাসায় ৫ তলা ভবনের জানালার পাশে যেতেই ঘটে বিপত্তি। সেখানে জানালার পাশেই ছিলো ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক খুঁটি। হঠাৎ বজ্রপাত হলে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও জানালা বিদুৎতায়িত হয়ে জান্নাতের দুটি হাতই ঝলসে যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসলে তার বাহু থেকে দুটি হাতই কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা শেষে হাত বিহীন জন্নাতুল বকেয়া মা ফাতেমা বেগম ও অপর বোনের সহায়তায় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর কাছে নিয়ে আসলে আগে থেকে তাকে সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা মানবিক কর্মী কল্যাণ বড়ুয়া সহায়তায় হুইল চেয়ার, নগদ অর্থ সহায়তা ও শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। এছাড়া উপস্থিত আরো কয়জন সরকারি কর্মকর্তা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে। হাত বিহীন পঙ্গু হয়ে যাওয়া জন্নাতুল বকেয়ার মা ফাতেমা বেগম জানান, তার স্বামী বিগত কয়বছর আগে মৃত্যুবরণ করে। দুমেয়ের বিয়ে হলে গেলে এ মেয়েটা গার্মেন্টসে চাকুরি করে তাদের পরিবার চালাত। আর অপর ছোট মেয়েটা বর্তমানে নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে তাদের সহায় সম্বল সব শেষ হওয়াতে পুরাপুরি সুস্থ না হলেও বাড়িতে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। তাই বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তার মা ফাতেমা বেগম। সহযোগিতায় আগ্রহীদের ০১৮৬৭৬৩২৩২৫ এ যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।