শরীয়তসম্মত ওরছে গাউছুল আজম ইতিহাসের মহাবিস্ময়

মিরাজুন্নবী (দ.) ও গাউছুল আজম মাহফিলে মুসল্লির ঢল

| শুক্রবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

প্রিয় রাসুল (.) এর হুবহু পদাঙ্ক অনুকরণ ও অনুসরণ করে যে সমস্ত মহান মনীষীগণ ইতিহাসে সমুজ্জ্বল তাদের মধ্যে খলিফায়ে রাসুল (.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আজীবন যিনি শরীয়তের ওপর অটলঅবিচল ছিলেন, সুন্নাতে রাসুলের ওপর সমস্ত কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। দু’চোখের অশ্রু ছিলো যাঁর জীবনের অলঙ্কার। আমানতদারীতায় এমন উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব ছিলেন শুধু মুসলিমরাই নয় অমুসলিমরাও আস্থা ও ভরসার প্রতীক হিসেবে উনার কাছে আসতেন। এবাদত ও রিয়াজতে ছিলেন অনন্য, প্রিয় রাসুল (.) ছিলেন উনার ধ্যানে জ্ঞানে সর্বত্র। নবীজিকে অনুসরণ ও ভালোবাসায় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে প্রিয় রাসুল (.) উনাকে ডেকে নিয়ে অলৌকিকভাবে বায়াতে রাসুল (.) প্রদান করে খলিফায়ে রাসুল (.) এর অনন্য মর্যাদা দান করেছেন। আল্লাহ ও রাসুলের প্রেমে এমন মহান জীবন গড়ে তোলেছেন বেছাল শরীফের সময় নবীজির হাত ধরে উনি হেসে হেসে গিয়েছেন আর কাঁদিয়ে গিয়েছেন সারা দুনিয়াকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিনরাত ব্যাপী চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদের গাউছুল আজম সিটিতে অনুষ্ঠিত কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল, হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্‌হুর স্মরণে ৭১তম পবিত্র মিরাজুন্নবী (দঃ) উদযাপন ও সালানা ওরছে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্‌হুর ঈছালে ছাওয়াব মাহফিলে এ মহামনীষীর একমাত্র খলিফা, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়দ মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। পবিত্র মি’রাজুন্নবী (.) ও সালানা ওরছে হযরত গাউছুল আজম (রা.) উপলক্ষ্যে ঈছালে ছাওয়াব মাহফিল এর জন্য বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে বাণী প্রদান করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সালানা ওরছে হযরত গাউছুল আজম (রা.) এ সহযোগিতা করার জন্য সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ দেশ জাতির উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য মোনাজাত করা হয়।

এদিন ফজরের নামাজের পর খতম শরীফ, মোরাকাবা, ঈছালে ছাওয়াব, মিলাদকিয়াম ও মুনাজাতের পর খতমে কুরআন অদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ওরছের কর্মসূচি। পূর্ব ষোষিত তারিখ থেকে মহিলা, প্রবাসী, তরিক্বতপন্থী ও উপস্থিত মুসলিম জনতা সর্বমোট ২৪,৭৮৪ টি খতমে কোরআন ৮২১ টি খতমে তাহলীল এবং ১২৪ টি খতমে ইউনুচ আদায় করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্ব্বে অনুষ্ঠিত সালানা ওরছে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া, প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। সালানা ওরছে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নুরী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরমজানে ১০ দিন প্রাথমিক, ১৫ দিন মাধ্যমিক স্কুল খোলা
পরবর্তী নিবন্ধভারত সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র বন্ধ চান ড. হাছান মাহমুদ