বর্তমানে যে মারাত্মক দূষণ নিয়ে সকলে একপ্রকার নির্বিকার তা হলো শব্দদূষণ। অকারণে হর্ণ বাজানো, যত্রতত্র মাইকিং, ব্যান্ডপার্টি – কন্সার্টের শব্দ, বিয়েবাড়ি- অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত শব্দে গানবাজনা এককথায় সহ্য ক্ষমতার অতিরিক্ত শব্দ হলেই তাকে শব্দদূষণ বলা যায়। বর্তমানে এর খপ্পর হতে দেশের কোথাও রেহাই নেই। বিশেষত চট্টগ্রামে মসজিদ মাদ্রাসার চক্রবৃদ্ধির সাথে ধর্মীয় ওয়াজ- মাহফিল, মিলাদ, সম্মেলনে উচ্চৈঃস্বরে মাইকের ব্যবহার এ অঞ্চলে শব্দদূষণের মাত্রা অসহনীয় করে তুলেছে। বর্তমানে শব্দদূষণের ফলে অস্থিরতা, উচ্চ রক্তচাপ, খিটখিটে মেজাজ, কানে কম শোনা, মাথাব্যথা, মাইগ্রেনসহ বহুসমস্যা ও আক্রান্তের হার ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের প্রায় ৫০% ট্রাফিক পুলিশ ও ৭০% কানে কম শোনেন সড়কের ভয়ঙ্কর শব্দদূষণের কারণে, প্রতিবছর হাজার হাজার পাখি মৃত্যুবরণ করে একারণে। এতকিছুর পরও কি দেশের শব্দদূষণ আইন শুধু কাগজেই থাকবে? এ ব্যাপারে প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি নিজস্বার্থে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির আহবান জানাচ্ছি।
আয়রা মেহজাবীন চট্টগ্রাম।