শবে বরাতের রাতে সড়কে মাকে ফেলে গেল সন্তানরা, হাসপাতালে মৃত্যু

এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার | সোমবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৪:৩১ অপরাহ্ণ

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে অতিবাহিত হয়েছে মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত। এটিকে জান্নাত অন্বেষণের রাত বলা হয়। তাই দুনিয়াবি সবকিছু ফেলে মুসলিমরা জান্নাত খুঁজতে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদে মশগুল। ঠিক একই সময়ে একজন বয়োবৃদ্ধ অচল মা মুমূর্ষু অবস্থায় পড়েছিল রাস্তায়।

কিছু মানবিক মানুষ এই বৃদ্ধ অসহায় মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সদর হাসপাতালে। সেখানেই রাত আড়াইটার দিকে মারা গেছেন এই দুঃখী মা জননী।

হাসপাতালে নেওয়ার ওই মা জননীর আর্তনাদ ছিল-‘তোরা কোথায়, আমাকে কেন ফেলে গেলি, আমাকে এখান থেকে নিয়ে যা’।

ফেসবুকে সবাই লিখেছেন, যখন দুনিয়ার মানুষ জান্নাত খুঁজতে ব্যস্ত, তখন কিছু মানুষ জান্নাতকে ফেলে দিয়ে গেছে রাস্তায়!

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত ওই দুঃখী মায়ের লাশ পড়েছিলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে। কিন্তু মিলেনি কোনো পরিচয়। খবর নিতে আসেনি কোনো আত্মীয়-স্বজন। তাই বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে সনাক্ত করা হয়েছে। তবে পরিচয় উদ্ধারে চেষ্টা করছে পুলিশ।

রাতেই এই অশীতিপর বৃদ্ধাকে রাস্তা থেকে উদ্ধারের ঘটনা ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সর্বমহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সবাই ব্যাপক আফসোস করছেন।

এ বিষয়ে বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কামাল উদ্দিন বলেন, “এখন ৮০ ভাগ নিশ্চিত সন্তানরাই এই মাকে নিষ্ঠুরভাবে ফেলে গেছেন। তা যদি হয়ে থাকে তাহলে সেই সন্তানদের পরকাল কেমন হবে? মাকে নিয়ে কেন এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা? এটা কি ধর্মীয় বা নৈতিক স্খলন? এটা সমাজে কি বার্তা দেয়।”

মা-বাবাই মানুষের জন্য আল্লাহর দেয়া বড় নেয়ামত। তাদের সেবাতে নিহিত রয়েছে জান্নাত। তাহলে এমন ঘটনাগুলো কেন ঘটে? এমন কু্লাঙ্গার সন্তানদেরও কি বৃদ্ধকালে এমন পরিণতি হবে?

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু চমেকে
পরবর্তী নিবন্ধথানচিতে ২২ পর্যটকের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিল কেএনএফ সশস্ত্র বাহিনী