ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানির নেতৃত্ব থেকে ১৬ বছর পর বিদায় নিলেন আঙ্গেলা মের্কেল। নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিয়েছেন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) নেতা ওলাফ শলৎস। গতকাল বুধবার শপথের আগে জার্মান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগ ওলাফ শলৎসকে চ্যান্সেলর নির্বাচিত করেছে। ৭০৭ ভোটের মধ্যে ৩৯৫ ভোট পেয়ে নিয়োগ সমর্থন পান শলৎস। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৩০৩টি, ছয় জন ভোটদানে বিরত ছিলেন। ভোটের পর শলৎস জার্মান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে যান। সেখানে প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার তার হাতে নবম ফেডারেল চ্যান্সেলর হিসাবে নিয়োগের আনুষ্ঠানিক পত্র তুলে দেন। এরপর শলৎস আবার বুন্ডেসটাগে ফিরে যান এবং সেখানে শপথ গ্রহণ করেন। বিবিসি জানায়, জার্মানির নবসূচনা করতে যথাসাধ্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নতুন চ্যান্সেলর শলৎস। তিনি এরপর তার মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন এবং নতুন মন্ত্রীরাও প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে গিয়ে নিয়োগপত্র গ্রহণ করবেন। নতুন মন্ত্রিসভায় ১৬ জন মন্ত্রী থাকছেন। এর মধ্যে সাতজন থাকছেন শলৎসের এসপিডি থেকে, পাঁচজন পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি এবং চার জন উদারপন্থি এফডিপি থেকে। মের্কেলের মন্ত্রীরা শলৎসের মন্ত্রীদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। আর মের্কেলের অধীনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা শলৎস তার দায়িত্ব তুলে দেবেন নতুন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারের হাতে। গত সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে শলৎসের মধ্য বামপন্থি এসপিডি সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে আসে এবং দুই মাসের দীর্ঘ আলোচনার পর পরিবেশবাদী গ্রিন এবং নব্য উদারপন্থি এফডিপি-র সঙ্গে জোট গঠনের চুক্তি করে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনা আছে জার্মানির নতুন সরকারের। তবে প্রাথমিকভাবে শলৎসের সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলাকেই অগ্রাধিকার দেবে।