শক্তি দেখাতে জাপানি জেটের সঙ্গে যোগ দিল মার্কিন বোমারু বিমান

চীন-রাশিয়া মহড়া

| শুক্রবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার আশপাশের আকাশ ও সমুদ্রে চীনরাশিয়ার মহড়ার পর পাল্টা শক্তি দেখাতে জাপানি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মার্কিন বোমারু বিমানও জাপান সাগরের ওপর দিয়ে উড়েছে বলে জানিয়েছে টোকিও। খবর বিডিনিউজের। বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান এ পাল্টা শক্তি প্রদর্শন করে, বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পরে বৃহস্পতিবার দেওয়া বিবৃতিতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলে, শক্তির মাধ্যমে স্থিতাবস্থা বদলের যে কোনো একতরফা চেষ্টা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান তাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করছে এবং এসবের জন্য জাপানের আত্মরক্ষামূলক বাহিনী ও মার্কিন বাহিনী যে প্রস্তুত তাও নিশ্চিত করছে। দিনকয়েক আগে চীন ওই অঞ্চলে তাদের সামরিক মহড়া শুরু করার পর এবারই প্রথম তিনটি জাপানি স্টেলথ ফাইটার ও তিনটি এফ১৫ জঙ্গিবিমানের সঙ্গে দুটি বি৫২ বোমারু বিমান উড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তাদের সামরিক উপস্থিতির জানান দিল। এর আগে মঙ্গলবার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও পূর্ব চীন সাগরের ওপর দিয়ে চীন ও রাশিয়া একসঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বোমারু বিমান উড়িয়েছিল।

পাশাপাশি ওই অঞ্চলে চীনা বিমানবাহী রণতরীর আলাদা মহড়াও চলছিল। মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় জাপান তড়িঘড়ি যুদ্ধবিমান উড়ালে চীনা বিমান তাদের দিকে রেডার তাক করেছিল বলেও অভিযোগ টোকিওর। তবে তাদের এ ভাষ্য বেইজিং প্রত্যাখ্যান করেছে। রেডার লকের এ ঘটনার সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটন। এই ঘটনা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক নয় মন্তব্য করে জাপানের সঙ্গে তাদের মিত্রতা অটল রাখার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে তারা।

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশেই মার্কিন সেনা রয়েছে। দেশের বাইরে জাপানেই সবচেয়ে বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন রেখেছে পেন্টাগন, সেখানে একটি বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে আক্রমণকারী যুদ্ধজাহাজগুলোর একটি গ্রুপও আছে। আছে মার্কিন মেরিনের বিশেষ অভিযান বাহিনী। চীন টোকিওর অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের রণতরীর কাছ দিয়ে জাপানি যুদ্ধবিমানের উড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ জাপানে বেইজিংয়ের অভিযানগুলোতে বিপদের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়াও মঙ্গলবার জানায়, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো ঢুকে পড়ার পর তারাও তড়িঘড়ি জঙ্গিবিমান পাঠিয়েছিল। এই আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলটি মূলত কোনো দেশের আকাশসীমার বাইরেই থাকে, আগাম সতর্কতা পেতে এই অঞ্চলটি কাজে লাগে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধসন্তান জন্ম দিতে চাইলে মিলবে না যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ ভিসা