লোহাগাড়ায় বসতঘর ও ধান ক্ষেতে বন্যহাতির তাণ্ডব

| রবিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় বসতঘর ও ক্ষেতে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্যহাতি। গত শুক্রবার রাতে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হোছন নগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ওই এলাকার মং ধোয়াই ম্রা মার্মা ও আবদুস শুক্কুর। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। লোহাগাড়া প্রতিনিধি

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ১০/১২টি বন্যহাতির একটি দল হোছন নগর এলাকায় হানা দেয়। এ সময় বন্যহাতির দলটি মং ধোয়াই ম্রা মার্মার বসতঘর ভাঙচুর করে। খেয়ে ফেলে বসতঘর ও ক্ষেতে থাকা ধান। এছাড়া আবদুস শুক্কুরের প্রায় এক কানি জমির ধান নষ্ট ও খেয়ে ফেলে বন্যহাতির দলটি। রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত বন্যহাতির দলটি তাণ্ডব চালিয়ে লোকালয় ছেড়ে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা বন্যহাতির কবল থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, তাণ্ডব চালানোর স্থানে বন্যহাতির পায়ের ছাপ ও মল দেখা গেছে। বন্যহাতির দলটি বসতঘর ভাঙচুর, ধানক্ষেতবাঁশঝাড় নষ্ট ও খেয়ে ফেলেছে। এছাড়া হাতি চলাচলের সময় ধাক্কা লেগে কয়েকটি গাছও পড়ে গেছে। রাতে বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে একাধিক স্থানে খড় দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

কৃষক মং ধোয়াই ম্রা মার্মা জানান, তিনি প্রায় ৩ বছর যাবত হোছন নগর এলাকায় বসবাস করছেন। ঘটনার রাতে বন্যহাতি তার বসতঘরের একটি দেওয়াল ভেঙে ফেলে। এছাড়া বসতঘর ও ক্ষেতে থাকা প্রায় ৫০ আড়ি ধান নষ্ট এবং খেয়ে ফেলেছে বন্যহাতির দলটি। রাত হলেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে হাতির দল। এতে তারা আতংকের মধ্যে নির্ঘুম রাত্রিযাপন করেন। বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন তিনি।

এদিকে, আধুনগর ইউনিয়নের কুলপাগলি এলাকায় প্রায় প্রতি রাতেই বন্যহাতির দল তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মো. ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বন্যহাতির একটি দল তার প্রায় ১০ গন্ডা জমির ধান ও মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত নষ্ট করে ফেলেছে।

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, পাকা ধান খেতে বন্যহাতি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। বন্যহাতি মানুষের ঘরবাড়ি ও ক্ষেত নষ্ট করলে সরকার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়মানুযায়ী আবেদন করতে হবে। এছাড়া বন্যহাতির সাথে দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে ঢাকাঢোল বাজিয়ে, পটকা ফুটিয়ে ও মশাল জ্বালিয়ে তাদেরকে তাড়ানোর জন্য এলাকাবাসীকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকারো কপালে চিন্তার ভাঁজ, কেউ নির্ভার
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়লেন যুবক