লোহাগাড়ায় টিলা কেটে পাকাঘর নির্মাণ

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৯ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার পুটিবিলায় টিলা কেটে ৩টি পাকাঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গৌড়স্থান কেইচ্যার ঝিরি এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সরকারিবেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন কাজে পাহাড়টিলা কাটা বা অন্য কোন উপায়ে ভূমির ধরন পরিবর্তন করা যাবে না। তবে ঝুঁকিপূর্ণ টিলাপাহাড়ের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষে ঝুঁকি হ্রাস করতে কেটে সমান্তরাল করা যাবে। এছাড়া টিলার উপরে স্থাপনা নির্মাণ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেয়ার বিধান রয়েছে। তবে স্থানীয় ছিদ্দিক আহমদ, রশিদ আহমদ ও মোহাম্মদ আলী প্রভাব খাটিয়ে আইন অমান্য করে টিলা কেটে পাকাঘর নির্মাণ করছেন। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে টিলার অনেকাংশ কেটে ফেলা হয়েছে। পাকাঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এভাবে টিলা কাটার কারণে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।

গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, গৌড়স্থান মৌজার কেইচ্যার ঝিরি এলাকায় দরবেশহাট ডিসি সড়ক থেকে একটু দক্ষিণে টিলা কেটে এসব পাকাঘর নির্মাণের স্থান। আশপাশে ঝোপঝাঁড় থাকায় সড়ক থেকে টিলা কেটে ভবন নির্মাণ কার্যক্রম লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে গেছে। কয়েকজন শ্রমিক পাকাঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন। এছাড়া মাটিখেকো চক্র টিলা কেটে মাটি পাচার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা দাবি করছেন, উক্ত টিলা তাদের আরএস মূলে বন্দোবস্তীকৃত। তবে টিলা কাটার ব্যাপারে তাদের কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

চুনতি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস জানান, গত ১ আগস্ট টিলা কেটে পাকাঘর নির্মাণের খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময় লাল পতাকা টাঙিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে তারা পাকাঘর নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে। গত ৭ অক্টোবর পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে লাল পতাকা টাঙানোসহ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভূমি অফিসের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডা. শাহাদাত চসিকের মেয়র, প্রজ্ঞাপন
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো বিষধর কালাচ