লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি৪ এর গভর্নর লায়ন আল সাদাত দোভাষ বলেছেন, বিশ্বের বৃহৎ সেবা সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের মূলমন্ত্রই হচ্ছে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত এবং কম সৌভাগ্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষাই লায়নিজম দিয়ে থাকে। চট্টগ্রামের লায়ন্স ক্লাবগুলো প্রতিদিনই অসংখ্য ভালো কাজ করে, মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তিনি অতীতের মতো সামনের দিনগুলোতেও মানুষের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন লায়ন্স ক্লাবের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা রাতারাতি সমাজ পাল্টে দিতে পারবো না। আমরা সমাজের সব সমস্যার সমাধানও করতে পারবো না। কিন্তু আমরা আমাদের ধারে কাছের কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারি। আমরা প্রত্যেকে যদি নিজেদের সামর্থানুযায়ী কষ্টে থাকা কিছু মানুষের পাশে দাঁড়াই তাহলেই বহু মানুষেরই কষ্ট লাঘব হবে।
লায়ন আল সাদাত দোভাষ গতকাল সোমবার নগরীর লায়ন্স ফাউন্ডেশনে ডিস্ট্রিক্ট গভর্নরস সেকেন্ড অ্যাডভাইজারি কমিটি মিটিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। দুই পর্বে অনুষ্ঠিত এই মিটিংয়ের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন জোন চেয়ারপার্সন লায়ন নিশাত ইমরান এবং দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন জোন চেয়ারপার্সন লায়ন হাসান আকবর।
রিজিয়ন চেয়ারপার্সন লায়ন ডা. গোপাল ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন আশরাফুল আলম আরজু, কেবিনেট ট্রেজারার আবু বক্কর সিদ্দিকী, জিএসটি লায়ন জি কে লালা, জিএলটি লায়ন ওসমান গনি, এলসিআইএফ লায়ন মোসলেহউদ্দিন খান, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাংয়ের প্রেসিডেন্ট লায়ন আবদুর রব শাহীন, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং মেট্রোপলিটনের প্রেসিডেন্ট লায়ন এম ফজলে করিম, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং ইম্পেরিয়াল সিটির প্রেসিডেন্ট লায়ন কাশেম শাহ, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং ব্লুমিং স্টারের প্রেসিডেন্ট লায়ন আনিসুর রহমান নিজেদের ক্লাবের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। এতে ক্লাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
এই সময় লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং মেট্রোপলিটনের আইপিপি লায়ন মোরশেদুল হক চৌধুরী, ট্রেজারার লায়ন কাঞ্চন মল্লিক, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাংয়ের সেক্রেটারি লায়ন বাবুল কান্তি লালাসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।