যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত দুই বাংলার ‘বঙ্গ সম্মেলন’ বা ‘নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স’-এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন আশনা হাবিব ভাবনা। নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এটিই ভাবনার প্রথম পুরস্কার।
তাই বেশ উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে পুরস্কারের ছবি শেয়ার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। এক পোস্টে ভাবনা লেখেন, নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্সকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র জন্য সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কৃত করার জন্য। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে আমি জানতামই না কিছু, আমার কলিগ মীর সাব্বির ভাই ও ইমন আমাকে সুদূর লাস ভেগাস থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমি ভাবলাম কী হলো? হঠাৎ অভিনন্দন! তারা দু’জনে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং ইমন আমার পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন। খবর বাংলানিউজের।
অভিনেত্রী লেখেন, আমি জীবনে নৃত্যশিল্পী হিসেবে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। তবে চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে এটাই আমার প্রথম পুরস্কার। ‘লাল মোারগের ঝুঁটি’ আমার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। ‘পদ্ম’ হয়ে পর্দায় এসে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই অনেক বড় বিষয় মানুষের ভালোবাসা। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমাটির টিমকে ধন্যবাদ দিয়ে ভাবনা লেখেন, আমি যখনই ভেঙে যাই, তখনই আমাকে আল্লাহ একটা উপহার দেন এবং মনে করিয়ে দেন যে, মানুষ আমাকে যতই আঘাত করুক, যতই বাদ দিয়ে দিক, যতই হাসুক, আমি আমার কাজটি সততার সঙ্গে করে যাবো। এই পুরস্কারের জন্য আমি ধন্যবাদ দেবো মাতিয়া বানু শুকুকে যিনি আমাকে অনেক আদর করেন, অনেক স্নেহ করেন এবং অবশ্যই আমার ডিরেক্টর নূরুল আলম আতিককে। লাল মোরগের টিমের সবাই কে লাভ ইউ।
১৯৭১ সাল, বাংলাদেশ এক বন্দিশালা। বিহারি-অধ্যুষিত ছোট এক শহর। সেখানে ব্রিটিশদের গড়া বিমানবন্দর সচল করতে সেনাবাহিনী আসে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে জনপদে ঘটে যাওয়া কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। ২০১৪-১৫ সালে সরকারি অনুদান পেয়েছিল ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন নুরুল আলম আতিক। কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং গৌরীপুরের বিভিন্ন জায়গায় এর শুটিং হয়েছে।