মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাঘোনা গ্রামে ধানক্ষেত থেকে মঙ্গলবার উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় মিলেছে। মরদেহটি উদ্ধারকালে মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাওয়ায় দিনভর লাশটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এটি পাশের এলাকার ২৩ বছর বয়সী মো. কায়সার হামিদের মরদেহ বলে গতকাল সন্ধ্যার দিকে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছে পরিবারটি।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কাইছার হামিদ বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যরা উদ্ধারকৃত লাশটির পরিচয় নিশ্চিত করেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. কায়সার হামিদ (২৩)। তিনি বড় মহেশখালীর পশ্চিম ফকিরাঘোনা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। তার মায়ের নাম আম্বিয়া খাতুন। কায়সার অবিবাহিত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টু জানান, যুবকটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্য এই জায়গায় ফেলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত যুবক এক সময় মাদ্রাসায় পড়ত। বর্তমানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করত। এই গ্রামে খুনের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
লাশ উদ্ধারকারী মহেশখালী থানার উপ–পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, নিহতের পরিবারের লোকজন সন্ধ্যায় কক্সবাজার
হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোহাম্মদ ফারুক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।