লালন ফকির-পতিতজনের বন্ধু

বঙ্গ রাখাল | শুক্রবার , ১০ অক্টোবর, ২০২৫ at ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ

বাবার মুখেই প্রথম শুনেছি লালনের নাম। তার আগেও শুনেছি কি না বা স্কুলে কারও কাছে শুনেছি বলে মনে পড়ে না। বাবাই একদিন আমাকে লালনকে চিনিয়ে ছিলেন এবং আমাদের বাড়ির পাশে অর্থাৎ চরচড়িয়া যে লালনের আখড়াবাড়ি এখনো বিদ্যমান তার ঠিকানা আমাকে দিয়েছিলেন। এই যে বাবার কাছ থেকে একজন শিল্পীর সাথে পরিচিত হই এবং তাঁর নামটা অন্তরে লালন হিসেবেই লালন করতে শুরু করি। সেই লালনকে অন্তরে লালন করেই ৮ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বন্ধুদের সাথে লালনের আখড়াতে ঘুরেছি এবং লালনেরমিলন হবে কত দিনে/আমার মনের মানুষের ও সাথে। জাত গেল, জাত গেল বলের মত অনেক পরিচিত গান শুনেছি। বাবাকে একদিন আমি জিজ্ঞাসা করি বাবা লালনকে নিয়ে তো অনেক কথা শোনা যায়সে নাকি কুষ্টিয়ার? বাবা প্রায় ধমকের স্বরেই বলেছিলেন ‘না’। সে আমাদের বাড়ির পাশের মানুষ। কত এই চড়িয়ার আখড়াতে এসেছে। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ২নং মিজাপুর গ্রামের গোলকনগর গ্রামেও একটা সাধুদের আখড়ার স্থান ছিল। সেখানেও সাধুসেবা হতো। সাধুরা নারী নিয়ে আমোদফূর্তি করে বলে অপবাদ দিয়ে এখান থেকে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি নিজেও দেখেছি গোলকনগর গ্রামে মো. রবিউল ইসলামের বাড়িতে একজন জটাধারী নিরামিষভোজী সাধুর আনাগোনা ছিল। তিনি বিভিন্ন রোগের ওষুধও দিয়ে থাকতেন। তাকে সবাই সাধুবাবা বলেই ডাকতেন। তখন থেকেই জানলাম তিনি ছিলেন একজন সাধকপুরুষ। এভাবেই সাধকপুরুষদেও সাথে আমার সর্ম্পক গড়ে ওঠে। অতঃপর বাংলায় পড়ালেখার সূত্রধরেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাধক পুরুষদেও সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে এবং আমার ‘মানবতাবাদী লালন: জীবন অন্বেষণ’ নামক একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। এভাবে নানাভাবে সাধক পুরুষদের সাথে জড়িয়ে পড়ি। পড়তে থাকি বাউলদের নিয়ে আর পড়তে এসে দেখি লালনকে নিয়ে যত তর্কবির্তক। সে নাস্তিক বা আস্তিক, সে হিন্দু আর মুসলমান, বিবাহিত বা অবিবাহিত, নিঃসন্তান বা সন্তান আছে, শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, জন্ম ঝিনাইদ বা কুষ্টিয়া এমন অজস্র প্রশ্ন। বিভিন্ন গবেষক বিভিন্নভাবে তাঁকে ব্যবহার করেছেন। অথচ লালনের গানের মূলার্থ নিয়ে গভীর কোন কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। লালন একজন গ্রাম্য অজপাড়া গাঁয়েরই ছেলে। গ্রামের আলোবাতাসও নিজে শরীরে মেখে বড় হয়ে উঠেছেন। এ গ্রাম্য পরিবেশ বা গ্রাম্য সামাজিক পরিবেশই তাকে একজন লালন হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। তিনি একজন কৃষিজীবী পরিবারের সন্তান। নিজের জীবনেও কৃষিকাজের প্রভাব রয়েছে এবং নিজেও কৃষি কাজ করেছেন। নিজের একটা পানের ‘বরজ’ ছিল এবং সেখানে তিনি নিজের হাতে কাজ করতেন। তিনি তাঁর গানেও বিভিন্নভাবে গ্রাম্য বা আঞ্চলিক শব্দব্যবহার করেছেন। আর আমাদের প্রত্যেকেরই একথা জানা যেসৃজনশীল মানুষ বা চিন্তাশীল মানুষ মাত্রেই কৃষক সমাজের প্রতিনিধি। নিজের চারিপাশের নানা ঘটনা বা কৃষির সবুজ সমারোহের ভিতরে ঘটে যাওয়া বিষয়কে তিনি প্রত্যক্ষ করে এই চরম বাস্তবতাকে নিজের সৃষ্টির উপকরণ বানিয়ে সৃজন করেছেন গান। যে কারণে গান শুনলেই আমরা তাঁর সময়ের অভিজ্ঞতা, সামাজিক সংকট, বাস্তবিক চিত্রের নানা পরিচয় আমাদের চোখের সামনে দৃশ্যমান হয়। এজন্যই লালনের গানের বিশাল অংশ জুড়ে আছে কৃষি উপকরণ আর লালন যে তাত্ত্বিক দর্শন প্রচার করতে চেয়েছেন তাও তিনি এই কৃষিজীবীদের উপযোগী করেই ব্যবহার করেছেন। আমরা জানি এদেশের অধিকাংশ মানুষই প্রান্তিক চাষা। তাদের জয় করেই আজ লালন উচ্চাসনে আসিন হয়েছেন। তিনি শব্দ ব্যবহারের দিক থেকে ব্যবহার করেছেন অতি সহজসরল শব্দ যা দেখলে বিস্ময়ের শেষ নাই যে, তাঁর গানে শব্দপ্রয়োগ ও অতি সহজ বয়ান কিন্তু এর অন্তর্নিহিত শব্দ আমাদের চিন্তার জায়গাকে শাণিত করে আর হৃদয়কে চমৎকারিত্ব করে তোলে। লালন তাঁর গানে তদ্ভব শব্দের ব্যবহার করেছেন এক উজ্জ্বলতম কারুকলা হিসেবে। যা অন্য কোন লোককবিকে এভাবে অধিক শব্দ ব্যবহার করতে দেখা যায় না।

দুই.

বাউলধর্ম একপ্রকার সাধনা। সেই সাধনায় কে হিন্দু আর কে মুসলমান সে ব্যবধান থাকে না। লালন জাতপাতের খুব একটা গুরুত্ব দিতেন না। কারণ মানুষ তো সবার ঊর্ধ্বে। মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হওয়া যায়। লালনের গানেও আমরা দেখতে পাই সেই একই সুর ধ্বনিত হয়েছে। সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে/লালন কয় জাতের কি রূপ/ দেখলাম না এই নজরে।

এই সাধকেরা কোন শাস্ত্রীয় অনুশাসন মানেন না। তারা শাস্ত্র মেনে মসজিদ বা মন্দিরে যান না। মানুষের মধ্যে রয়েছে তাদের রত্ম। ইসলাম একটি ধর্ম, সুফী একটি সাধনমার্গ। হিন্দু একটি ধর্ম কিন্তু সহজিয়া একটি সাধনমার্গ। তাঁদের সাধনা সেই পরমের সাধনা। যাকে পাবার জন্য তাদের মন ব্যাকুল থাকে। এই সাধনা যারা করেন তাদের সাধক বলা হয়। এদের মধ্যে ধর্মভেদ না থাকলেও শ্রেণিভেদ আছে। বাউল সম্প্রদায় প্রচলিত কোন ধর্মকে তাঁরা নিজেদের কাছে আশ্রয় দেননি। বরং তাঁরা বিরোধি জীবনযাপন বা জীবনাচার পালন করেছেন। যে কারণে তাদের দ্রোহী বলা হয়। তাঁরা কোন ধর্মের না। তারা নিজেরা নিজেদেরই একটা সংস্কৃতি গড়ে নিয়েছেন। আল্লাহ, ভগবানকে তো কোন নির্দিষ্ট জায়গাতে পাওয়া যায় না। তিনি তো সবার পরম পুরুষ, পরম ধন, মনের মানুষ। এজন্যই তো লালন বলেছেনমনের মানুষ চিনলাম নারে।/ পেতাম যদি মনের মানুষ সাধিতাম তার চরণ ধরে।

লালন গ্রামীণ বাংলার এক মহান ভাবসাধক। তাঁর ভাব সম্পদ আজ পৃথিবীর সম্পদে পরিণত হয়েছে। যা কিনা বিশ্বায়নের যুগেও আমাদের কাছে তাঁর গুরুত্ব্ব হারায়নি। লালনের কবিশক্তি, কাব্যজগৎ, জীবনযাপন সবকিছুই এক নিজস্ব এবং স্বতন্ত্র রীতির সৃষ্টি করেছে। কে এ লালন? এই বিতর্ক আজ সমধিক প্রচারিত। কেউ কেউ লালনকে লোককবি, বাউল, ফকির বা দার্শনিক কবি হিসেবেও পরিচিত করার প্রয়াস পান। কিন্তু তিনি নিজের স্বতন্ত্র রীতি বা নিজস্ব এক ঘরানা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন; যে কারণে আজও লালনের আখড়াগুলোতে (কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহের চরচড়িয়া, হরিশপুর) ‘সাধুসেবা’ এবং এই তত্ত্বক্তের গান বাজনা হয় এবং তাঁর গানের মাধ্যমে সন্ধান করেন কাণ্ডারীর। যে এই অসহায় শিষ্যদের নিশানা দেখাবে। যে নিশানাকে আশ্রয় করে তারা সত্য, সুপথে চলার জন্যই এই আখড়াগুলোতে আশ্রয় খুঁজে ফেরেন। এখনও লালনের গান পরিবেশনে তাঁর শিষ্যরা চোখের জল ঝরান। গুরু/মুর্শিদের ব্যথায় আকুল তাদের অন্তর। কি গভীর চাহনী! সারারাত ধরে গানে গানে আর তত্ত্ব আলোচনায় এখনও হাজির হয় গুরু লালন ফকির। কোন পথে আসবে গুরু, কখনই বা মিলবে গুরুর সন্ধান, এ যেন গুরুর সন্ধানে মাতোয়ারা হয়ে যাওয়া। বর্তমান অবক্ষয় মানবতার হাহাকারের যুগে লালনের মানবতার বাণী সর্বাধিক প্রচারিত ও প্রসারিত। এই বাণীর ছায়া তলে সবাই আশ্রয় পেতে চায়। কিসের ভয় এইসব স্বার্থলোভী মানুষদের ? লালন আমাদের নিজস্ব, আমাদের শিকড় ঐতিহ্যের প্রতীক। একটা দেশের মূল তার দেশের ঐতিহ্য আর লালন সেই আমাদের ঐতিহ্যের বা প্রত্মের প্রতীক হিসেবেই পরিগণিত। নিজস্ব সাধনা বলেই তিনি মহা সমারোহে পৃথিবী পাড়ায় প্রচারিত। যখন শুনি

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

নয় ক্ষ্যাপারে তুই মূল হারাবি ’।

নির্দ্বিধায় বলতে হয় আমাদের শিকড় মূলের প্রাণপুরুষ। যাকে আমরা আমাদের পাথর মনকে বিগলিত করার মন্ত্রণায় পেয়ে থাকি। তিনি বাঙলা মায়ের প্রসিদ্ধ গ্রামীণ জনপদের আধ্যাত্মিকবোধের মানবিক মানুষলালন ফকির। আমাদের শিকড় অর্থে যা বোঝায় তিনি আমাদের চেতনা আর মন কাঠামোকে মজবুদ করার কৌশল আয়ত্ত্ব করার শিক্ষা বা মন্ত্রণা দিয়ে থাকেন। পশ্চাৎপদ এদেশের মানুষকে প্রভাবিত করেছেন নতুন এক বেগমান পথের দিকে। যেখানে আমাদের মুক্তি মেলে। লালন ফকির এক বিস্ময়কর প্রতিভা। যার যাপিত জীবন আর সমাজের চালচিত্রের নিটোল সন্ধান মেলে তাঁর গানে। সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তিনি তাঁর সব গানেই প্রায় প্রতিবাদী ভাষা ব্যবহার করেছেন। তবে অনেকটা বিদ্রুপাত্মকভাবে যা স্বার্থলোভী ভেকধারীদের হৃদয়ে গিয়ে লেগেছে । যে কারণে তাকে কাঠমোল্লারা ন্যাড়ার ফকির, ধর্মহীন ফকির বলে আখ্যায়িত করেছে। জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন এক উদাসিন ফকির তবে সমাজ সচেতনহীন ছিলেন একথা বলা যায় না। গানই ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র আরাধনার বিষয়। এই গানের ধ্যানময় উপাসনা থেকে ধর্মের নামধারী কট্টরপন্থিরা তাঁকে বিরত রাখার চেষ্টা করেও তাঁর জায়গা থেকে সামান্যতমও স্থানচ্যুত করতে পারেননিযে আচরণ এখনও কট্টরমোল্লাদের মধ্যে দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গাতে বাউলদের চুল, দাঁড়ি কেটে দেওয়া হচ্ছে। বিতাড়িত করা হচ্ছে সমাজ থেকে। ইসলামের ধোঁয়াশা তুলে তাদের এই সাধনার পথ থেকে সরিয়ে আনা কিংবা লালনের মাজারের জমি দখল নিয়েও ফকিরদের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মানুষ চড়াও হয়েছে। যা আমাদের সমাজে এখনো চলমান। যে লালনের সৃষ্টি আজ পৃথিবী ব্যাপ্তি প্রচার হচ্ছে, আমরা এখনও তাকে ধর্মের বেড়াজালে আবদ্ধ করে রেখেছি যা আমাদের জন্য সত্যিই লজ্জাকর ।

সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে/লালন বলে জাতের কি রূপ/দেখলাম না এই নজরে।/কেউ মালা কেউ তসবি গলে/তাই তোরে জাত ভিন্ন বলে।/যাওয়া কিংবা আসার বেলায়/জাতের চিহ্ন রয় কাররে ?/সুন্নত দিলে হয় মুসলমান/নারীর তবে কি হয় বিধান/বামুন চিনি পৈতেপ্রমাণ/বামনী চিনি কিসেরে?/জগৎ বেড়ে জাতির কথা/লোকে গল্প করে যথাতথা/লালন বলে জাতির ফাতা/ডুবিয়ে দে সাধ বাজারে। তাহলে আমরা দেখতে পাই লালনের এই গানটি সমধিক প্রচারিত। এমনিভাবে যদি খুঁজে দেখা যায় তাহলে দেখতে পাওয়া যাবে যে মধ্যযুগের অনেক ভক্তিযোগী, সন্ন্যাসীর পদদোহার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব লালনের গান কেউ প্রভাবিত করেছে। এটা দোষের কিছু না। প্রভাব পড়তেই পারে। লালন পূর্বসূরীদের কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে যা প্রকাশ করেছে এটা একান্তই তাঁর নিজস্বতা এবং স্বতন্ত্র্য। যা লালনকে এক ধনবান হিসেবেই পরিচিত করে তোলে। লালনকে আমরা বিশ্লেষণ করলে একজন খোদ বাঙলা মায়ের সন্তানকেই খুঁজে পাই। তিনি আমাদের বাঙালিদের যে আত্মবোধ, সেইবোধকেই সর্বদা জাগ্রত করে তোলেন। কবীর, দাদু, রজবের মত তিনিও লড়াই করেছেন এই লোলুপ সমাজের জাতপাত আর অনাচারী স্বার্থলোভী মানুষদের বিরুদ্ধে। সামাজিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক শোষণ আর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরণ তিনি লড়ে গেছেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান কোন ধর্মের মধ্যেই তিনি নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি এজন্যই তিনি বাঙালির এক স্বপ্নদ্রষ্টা হতে পেরেছেন। গ্রামীণ সংস্কৃতি অন্তরে ধারণ করেই তিনি শতবছর ধরে সৃজন করে গেছেন সমাজসচেতন এবং বিদ্রোহী গান যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় তিনিই আমাদের বাঙালিদের আধুনিক প্রাণপুরুষ। যার আধুনিক চিন্তাভাবনা পরিমিতবোধই একজন আধুনিক কবি হিসেবে তাকে পরিচিত করে তোলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুঝে ছিলেন লালনের প্রতিভার শক্তি। যে কারণে তিনি লালনের কিছু গান প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেন এবং তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন লালন, হাছনের নাম। এখান থেকেই লালন পরিচিতি পেতে শুরু করে। কোন গোণ্ডীর মধ্যেই আজ লালনকে আবদ্ধ করা যায় না। তিনি আজ হয়ে উঠেছেন সারা পৃথিবীর মানবতার মূর্তপ্রতীক। একসময় চর্যাপদের মূলমন্ত্র সাধারণের আরাধ্য ছিল। সময়ের পরিক্রমায় আজ আর তা আরাধ্য না হলেও তা প্রোথিত হয়ে আছে বাঙালির মননে, ঐতিহ্যে, শেকড়ে। লালনও তেমনই ভেদবুদ্ধিহীন সারা জীবন মানবতার জয়গান করে গেছেন। তাঁর দর্শন আমাদের পাশ্চাত্যের পাশবিকতা থেকে বারংবার সাবধান করে দেয়। কেননা তাঁর গানই আমাদের শেকড়, সংস্কৃতিকে আঁকড়ে বাঁচতে শেখায়। যা মানবতার শক্তিতে বলিয়ান হয়ে নিজেদের স্বজাতি, মাতৃভূমিকে বর্ণভেদের ঊর্ধ্বে উঠে এক মানবতার চমৎকারিত্বের সারিতে দাঁড় করিয়ে দেয়। যে কারণেই একজন দুদ্দু শাহ লালন ফকিরকে বলতে পারেন লালন পতিতজনের বন্ধু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবি ও মদমাতালের দেশে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রবীণ তিন সাংবাদিক স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে কাল