চট্টগ্রামে চলমান অতিভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে। পাহাড় ধসে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে এবং এ থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ কল্পে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। গতকাল বুধবার মহানগরীর আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিসের আওতাধীন লালখান বাজারের জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা ও পোড়া কলোনী সংলগ্ন পাহাড় এবং অপরূপা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ভারী বর্ষণের কারণে কোথাও ভূমি ধস হয়েছে কিনা বা ভূমি ধসের আশংকা রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সরেজমিন মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সার্বক্ষণিক এ মনিটরিং কার্যক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের বসবাসের জন্য বা সাময়িক অবস্থানের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) আগ্রাবাদ সার্কেল চট্টগ্রাম মহানগরের তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ পাহাড়তলী ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় স্থানীয় ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় খুলশী থানা পুলিশের টিমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।পরিদর্শনকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আগ্রাবাদ সার্কেল’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান তুরান বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক অতিভারী বর্ষণজনিত পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়ার জন্য দু’টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। একটি হচ্ছে ওয়াইডাব্লিউসিএ কমিউনিটি স্কুল, পোড়া কলোনী, লালখান বাজার এবং আরেকটি হচ্ছে ইলমুল কোরআন মাদ্রাসা, অপরূপা আবাসিক এলাকা, লালখান বাজার। দু’টি আশ্রয় কেন্দ্রে যারা সাময়িকভাবে বা টানা বর্ষণের কারণে কয়েকদিন অবস্থান করবেন তাদের বসবাসের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান এবং মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও পাহাড় এবং পাহাড়ের পাদদেশে যেসব পরিবার অবস্থান করছে তাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।