আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ঘোষিত দ্বিতীয় তফশীল অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি লামা পৌরসভার ৪র্থ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এক নারীসহ ৯ সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার তদবির আর দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, তফশীল ঘোষণার সাথে সাথে ভোটারদের মাঝেও আসন্ন নির্বাচন ও প্রার্থী নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। কারা চাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন, সে বিষয়টিই উঠে আসছে সাধারণ ভোটারদের আলোচনায়।
জানা গেছে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর কথা আলোচনায় আসছে। এ পর্যন্ত সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন এমন আলোচনায় রয়েছেন ৫ জন এবং বিএনপি থেকে ৪ জন। যে যার যার দল থেকে মনোনয়ন পেতে তদবির চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেকে সংবাদ সম্মেলন করে কিংবা গণসংযোগ করে নিজেদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ইচ্ছার কথা জানান দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষে যারা মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছেন, তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজয় কান্তি আইচ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, তাঁতী লীগের উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ ইসমাইলের ছোট ভাই মো. নাছির উদ্দিন ও সহধর্মিনী হাসিনারা মোস্তফা লাভলী। অপরদিকে, বিএনপি থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আমির হোসেন, পৌর যুবদলের সভাপতি সুলতান আকবর মোমিন, লামা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মালেক চৌধুরীর ছেলে আরিফ চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহিন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন। মো. শাহিন গতকাল বুধবার দুপুরে লামা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, সব কিছু ছাপিয়ে সাধারণ ভোটারদের দৃষ্টি কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি সে দিকে। তবে দলীয় বিভিন্ন সূত্র গুলো জানিয়েছে, বর্তমান পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম আবারো নৌকার কান্ডারী হতে যাচ্ছেন। তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সাধারণ জনগণের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির আন্তরিক সহযোগিতায় গত ৫ বছরে পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। তাই দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের ধারণা মো. জহিরুল ইসলাম আবারো দলীয় প্রার্থী হবেন এটাই অনেকটা নিশ্চিত। প্রধান দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রায় সকলেই অভিন্ন ভাষায় জানিয়েছেন, তারা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। দল মনোনয়ন দিলেই নির্বাচন করবেন। অন্যথায়, দল যাকে মনোনয়ন দেয় তার পক্ষে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর লামা পৌরসভার তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে সাবেক মেয়র ও বিএনপির সভাপতি মো. আমির হোসেনকে পারাজিত করে বর্তমান লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।