ঢাকা চকবাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সালেহা ট্রেডিং কৃষি উপকরণ পাওয়ার টিলারের ‘লাঙল’ ঘোষণায় তিন কন্টেনার ভর্তি বিপুল পরিমাণ প্রসাধন সামগ্রী নিয়ে আসে। মিথ্যা ঘোষণায় এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক আড়াই কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর থেকে ৩০ টন পাওয়ার টিলারের ‘লাঙল’ ঘোষণায় ৫০ টন কসমেটিকস নিয়ে আসে। মূলত এসব পণ্য এমভি এক্সপ্রেস কাবরু জাহাজযোগে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি। এতদিন পর্যন্ত আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। অবশেষে গোপন খবরের ভিত্তিতে গতকাল কাস্টমসের এআইআর টিম দুটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেনার এবং একটি ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেনার ফোর্স কিপ ডাউন করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে। কায়িক পরীক্ষায় দেখা গেছে আমদানিকারক লাঙলের পরিবর্তে জনসন, সানসিল্ক, ডাব শ্যাম্পু, পলমোলিভ শোপ, শাওয়ার জেল, ডাব শ্যাম্পু, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ক্রিম, জিলেট শেভিং ফোম নিয়ে এসেছে। মিথ্যা ঘোষণায় আসা এসব কসমেটিকস জাতীয় পণ্যের শুল্ক নিরূপণ করে আমদানিকারক প্রায় আড়াই কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে বলে জানায় এআইআর টিম। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (এআইআর শাখা) রেজাউল করিম দৈনিক আজাদীকে বলেন, লাঙলের কাস্টমস ডিউটি ১ শতাংশ। তবে সব মিলিয়ে হয় ১১ শতাংশের মতো। অন্যদিকে ‘মিথ্যা’ ঘোষণায় আসা পণ্যগুলোর মধ্যে কিছু পণ্যের শুল্কহার ৮৯ শতাংশ আবার কিছু আছে ১২৭ শতাংশ। তবে বেশিরভাগেরই শুল্কহার ৮৯ শতাংশ। ‘মিথ্যা’ ঘোষণায় চালান আমদানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখবে কাস্টমসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিট।