২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকসে নারী ও পুরুষ ক্রিকেট ইভেন্টে লড়বে ছয়টি করে দল। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নির্বাহী বোর্ড গত বুধবার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য মোট ৯০ জন অ্যাথলেটের কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থাৎ টি–টোয়েন্টি সংস্করণের ক্রিকেট ইভেন্টে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোকে ১৫ জনের স্কোয়াড সাজাতে হবে। কীভাবে দল বাছাই করা হবে সেটা নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আইসিসি অবশ্য আইওসিকে পরামর্শ দিয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে নারী ও পুরুষ ক্রিকেটের দলগুলো নির্বাচন করার। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র যদি সরসরি খেলার সুযোগ পায় তাহলে জায়গা বাকি থাকবে পাঁচটি। তাছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্ব কারা করবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলো কমনওয়েলথ গেমসের মতো অলিম্পিক গেমসেও পৃথক দেশ হিসাবে অংশ নেয়। যেমন, ২০২২ বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে যখন নারীদের টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন বারবাডোজ আলাদাভাবে অংশ নিয়েছিল। সরাসরি জায়গা পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ওই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা– দা টি–টোয়েন্টি ব্লেজের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সুযোগ পেয়েছিল বারবাডোজ। একশ বছরের বেশি সময় পর অলিম্পিক গেমসে ফিরছে ক্রিকেট। ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম ও সবশেষ ক্রিকেট খেলা হয়েছিল। সেই আসরে শুরুতে গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের অংশগ্রহণে নকআউট টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা হয়েছিল। তবে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ানোয়, ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেনের ‘ফাইনাল’ দিয়ে শেষ হয় ওই ইভেন্ট। উভয় দলে ১২ জন ক্রিকেটার নিয়ে হওয়া ম্যাচটি জিতে অলিম্পিকে ক্রিকেট থেকে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র স্বর্ণপদক পায় গ্রেট ব্রিটেন।