কক্সবাজারের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র উদ্যোগে লবণ, পান, মৎস্য ও পর্যটন শিল্প রক্ষায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সকল অপরিকল্পিত ও দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পায়ন বন্ধের দাবিতে পেকুয়া কবির আহমেদ বাজার ওয়াপদা চত্বরে এক জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এবং পরিবেশ কর্মী দেলওয়ার হোসাইন ও জালাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ধরিত্রি রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর কেন্দ্রিয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধরা কঙবাজারের আহ্বায়ক ফজলুল কাদের চৌধুরী, চুনতি রক্ষায় আমরা আন্দোলনের আহ্বায়ক চুনতি রক্ষায় আমরা আন্দোলনের আহ্বায়ক সানজিদা রহমান, সাংবাদিক ফরিদুল আলম শাহীন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক। বক্তব্য রাখেন মোসলেম উদ্দিন আজাদ, এম আজম উদ্দিন, ইয়াছিন আরাফাত, আতাউল ইসলাম, হারুন অর রশিদ,ওসমান গণী,জামাল উদ্দিন, লবণচাষী হাবিবুল হক,আবদুল হালিম, শফিউল আলম, রুহুল কাদের, নাজেম, নাজেম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, কঙবাজার জেলা শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বের জন্য পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এ জনপদের মানুষের জীবন–মান উন্নয়নে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং বিশেষ করে এ অঞ্চলের লবণ চাষিদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং লবণের ন্যায্যমূল্য কমপক্ষে পাঁচশত টাকা করতে হবে। অন্যথায় কঙবাজারের লবণচাষিদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
চুনতি রক্ষায় আমরা আন্দোলনের আহ্বায়ক সানজিদা রহমান বলেন কঙবাজার জেলার পর্যটন রক্ষার নামে শত শত পাহাড়ের বুক চিড়ে ৭ লক্ষ গাছ কেটে যে উন্নয়নের নামে রেললাইন করা হয়েছে তা আমাদের এখন গলার কাটা। তারা রেললাইন দিয়ে আমাদের বণ্য প্রাণী ধ্বংস ও সাধারণ মানুষকে বন্যার পানিতে ভাসিয়ে মারার মরণ ফাঁদ তৈরি করছে, আমরা এমন উন্নয়ন চাই না, যে উন্নয়নে আমাদের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা পায় তেমন উন্নয়ন চাই। লবণ চাষিদের প্রতিনিধি এম. আজম উদ্দীন বলেন,আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ লবণ চাষি তাদের অধিকার বলতে কিছু নাই, তারা আজ দিশেহারা লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় তাদের পক্ষে কথা বলার কোন মানুষ নেই। আমরা অধিকার আদায়ের জন্য দরকার হলে এই আন্দোলন আরও বেগবান করব।
এছাড়া জনসমাবেশে পরিবেশ সংগঠক আবু বক্কর, আলা উদ্দিন আলোসহ পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী–মাতারবাড়ি বাঁশখালী এলাকার নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ অংশগ্রহণ করেন।