মানুষের কাছে আত্নসম্মান হলো অলংকার স্বরূপ। একজন পুরুষ একজন নারীকে উলঙ্গ করতে গিয়ে নিজে উলঙ্গ হয় যেটাকে আমরা ধর্ষণ বলি, তখন পুরুষটাও যে উলঙ্গ হলো সেই লজ্জাবোধ তার থাকে না বলেই আজ নারী ধর্ষিতা। এটা যে তারও আত্নসম্মান পুরুষ সেটা মানে না বলেই শুধু নারী ধর্ষণ হয়। একজন পুরুষ যখন রাস্তার ধারে বসে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয় তখন তার পাশ দিয়ে বিশাল শহরের কর্মব্যস্ততা। সে পুরুষের চিন্তায় জায়গাও করে না আমি আমার সম্মানকে সস্তা করে দিলাম। তার কাছে তখন ‘আমি চোখ বন্ধ করছি মানে দুনিয়া আমাকে দেখে না’ এ বাক্যের মতো। পুরুষ বলেন নারী বলেন মানুষ তো সবাই। মানুষ হিসেবে লজ্জাবোধ থাকা কি জরুরি নয়? রাস্তার ধারের কোনো মেয়েকে যখন আপনি ওড়না নামাতে বলেন তখন কি আপনি নিজের দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা খেয়াল করেন না? সেই পুরুষের অহংকার করা সাজে যে কিনা হাজারো অশ্লীলতার ভীড়ে নিজেকে স্থির রাখতে পারে আত্মসম্মান ধরে রাখার জন্য। সমাজের পুরুষরা যখন সচেতন হবে হায়েনা অবশ্যই ভয় পাবে। রাস্তায় ধারে একা দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে আপনার ধর্ষণ করার বস্তু না ভেবে পুরুষ হিসেবে যখন আপনি ভাববেন এটা আমার দেশ, আমার দেশে সবাই নিরাপদ থাকবে সে যেমনই হোক। নিজে বদলান, দেশ বদলাবেই। পুরুষ হোন, মানুষ হোন, ধর্ষক নয়।