রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় আকস্মিক ঝড়ে কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলার নানিয়ার চরে পৃথক নৌকা ডুবিতে ২ যুবক নিখোঁজ হয়েছে। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে জেলার লংগদু উপজেলার গুলশাখালীতে আকস্মিক ঝড়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন শিরিনা বেগম (৪০), রানা (৭) ও মাসুম (৫)।
লংগদুর স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. সোহেল কবির বলেন, সন্ধ্যায় মাইনীমুখ এলাকা থেকে ৫ জন একটি ছোট নৌকা নিয়ে গুলশাখালী আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যায়। তারা সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে হ্রদে আকস্মিক ঝড়ে নৌকা ডুবে যায়। নৌকায় ১ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ২ জন শিশু ছিল। খবর পেয়ে রাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এক নারীকে উদ্ধার করি এবং রানা নামে এক শিশুকে কচুরিপানা থেকে মৃত অবস্থায় পাই। ওই নৌকায় থাকা শিরিনা বেগম ও তার ছেলে মাসুমকে (৫) রাতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজকে (বুধবার) সকালে শিরিনা বেগম ও দুপুরে শিশু মাসুমের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার পর আকস্মিক ঝড়ে গুলশাখালী এলাকায় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। রাতে এক শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। আজকে সকালে ৮টার দিকে এক নারী ও দুপুরে ২টার পরে আরেক শিশুর মরদেহ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এদিকে, জেলার নানিয়ার চর উপজেলাতেও নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ যুবক নিখোঁজ রয়েছে। তারা হলেন– ডিলিশন চাকমা ও জিতেশ চাকমা। দুইজনই ইউনিয়নের শনখোলাপাড়ার বাসিন্দা।
নানিয়ার চর উপজেলার ১ নং সাবেক্ষং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সুপম চাকমা জানান, ৬ জন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র উপজেলা বাজারে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়েছিল। তারা রাতে ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় মহাজনপাড়া এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় তারা সবাই নৌকাসহ উল্টে যায়। এরমধ্যে ৪ জন সাঁতরে কূলে আসতে পারলেও ২ জন সাঁতার না জানার কারণে ডুবে যায়। তারা এখনো নিখোঁজ রয়েছে। রাঙামাটি শহর থেকে ডুবুরি টিমকে জানানো হয়েছে। আপাতত স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তাদের ৬ জনের বাড়ি শনখোলাপাড়ায়।
