দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর উইকেটে গিয়ে প্রতিরোধ গড়েন আফিফ হোসেন। দলের বিপর্যয়ে উপহার দেন দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি। যার ছাপ পড়েছে তার র্যাঙ্কিংয়ে। আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ২৩ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। গতকাল সবশেষ প্রকাশিত ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো সেরা একশতে জায়গা করে নিয়েছেন আফিফ। ২৩ ধাপ এগিয়ে ৮১ নম্বরে উঠেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১৩ বলে ১৭ রান করেছিলেন আফিফ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কঠিন সময়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে লড়ার মতো পুঁজি এনে তিনি। ৯ টি চারের সাহায্যে খেলেন ৭২ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরিয়নে ৩৮ রানে জেতা প্রথম ওয়ানডেতে ৫০ রান করা লিটন কুমার দাসের উন্নতি এক ধাপ। ৩১ নম্বরে আছেন বাংলাদেশের ডানহাতি এই ওপেনার। অবনতি হয়েছে তিন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানের। তিন ধাপ নিচে নেমে গেছেন মুশফিক। এক ধাপ করে নেমেছেন সাকিব ও তামিম।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কুইন্টন ডি ককের অগ্রগতি এক ধাপ। প্রথম ওয়ানডে না খেলা এই কিপার-ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ম্যাচে দলে ফিরে খেলেন ৪১ বলে ৬২ রানের ইনিংস। তাতে ক্যারিয়ার সেরা তিন নম্বরে উঠেছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আগের মতোই সবার ওপরে পাকিস্তানের বাবর আজম। ভারতের বিরাট কোহলি আছেন দুইয়ে। চার ও পাঁচ নম্বরে যথাক্রমে রোহিত শর্মা ও অ্যারন ফিঞ্চ।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তাসকিন এগিয়েছে ১২ ধাপ। আছেন ৪৮তম স্থানে। ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিরাজ ধরে রেখেছেন ৭ নম্বর স্থান। এক ধাপ করে নিচে নেমে গেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব। প্যাট কামিন্সের সঙ্গে যৌথভাবে ১২ নম্বরে সাকিব। মোস্তাফিজ আছেন ১৭তম স্থানে। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা পাঁচ ধাপ এগিয়ে এখন ৮ নম্বরে। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। পরের চারটি স্থানে যথাক্রমে আছেন জশ হেইজেলউড, ক্রিস ওকস, ম্যাট হেনরি, মুজিব উর রহমান। ওয়ানডের অলরাউন্ডারদের তালিকায় চার ধাপ এগিয়েছেন মিরাজ। এখন আছেন ৮ নম্বরে। এই তালিকায় আগের মতোই শীর্ষে সাকিব।