র্যাগ ডে একজন শিক্ষার্থীর কলেজ জীবনের শেষ স্মৃতিচারণ ও আনন্দঘন বিদায়ের দিন। এ দিনটির উদ্দেশ্য শিক্ষাজীবনের অর্জন, বন্ধুত্ব এবং ক্যাম্পাসজীবনের অনুভূতিগুলোকে সম্মান জানিয়ে ইতিবাচকভাবে উদযাপন করা। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো বর্তমানে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি উদযাপনের নামে চলছে অশালীনতা, বেপরোয়া আচরণ এবং সমাজবিরোধী কার্যকলাপ। বিকৃত সুরে উচ্চঃস্বরে গান, অশালীন ও উগ্র পোশাকে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ, বন্ধু বান্ধুবীর গায়ে কলম দিয়ে অশ্লীল শব্দ লিখে দেয়া, পথচারী বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি এসব কোনোভাবেই শিক্ষার্থীর পরিচয়ের সঙ্গে যায় না। শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তকের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। এটি মননশীলতা, মানবিকতা ও শালীনতার পাঠ দেয়। একজন শিক্ষার্থীর আচরণে সমাজ তার ভবিষ্যৎ চিনে নেয়। র্যাগ ডে উদযাপন করতে গিয়ে যদি সেই শিক্ষার্থী নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের মান–সম্মান ভুলে যায়, তাহলে তা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয় ঘোরতর দায়িত্বজ্ঞানহীনতাও বটে। তাই প্রয়োজন সংস্কারধর্মী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ আয়োজন, যেখানে আনন্দ থাকবে, কিন্তু অশালীনতা থাকবে না। কলেজ প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ সচেতনতায় এই দিন হোক গর্বের, প্রেরণার এবং শিক্ষার আদর্শিক চূড়ান্ত প্রকাশ। অসামাজিক আচরণ নয়, র্যাগ ডে হোক শালীনতার এক অনন্য নিদর্শন।
তারেক আল মুনতাছির
শিক্ষার্থী,
বাংলা বিভাগ, কক্সবাজার সরকারি কলেজ।