উখিয়ার ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০০ মতো ঝুপড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশাপাশি পুড়ে গেছে স্থানীয়দের চারটি ঘরও। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে তাজনিমারখোলা ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি–১, ডি–২ ও ডি–৩ ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কিভাবে তা কেউ জানে না। তারা জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পাশাপাশি এপিবিএন, বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ডি–২ ব্লকের মাঝি জাহিদ হোসেন বলেন, হঠাৎ কীভাবে আগুন ধরেছে আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। ঘর থেকে কিছু কিছু জিনিস আমরা বের করতে পেরেছি। একটি সূত্র জানিয়েছে, ডি–১ ব্লকের আবদুল্লাহর স্ত্রী রান্না করার সময় কড়াইয়ে থাকা তেলের পানি পড়লে আগুন ওপরে উঠে যায়। পরে পুরো ব্লকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, স্থানীয়দের ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার খোঁজ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে গেল ২৪ মে একই ক্যাম্পে আগুন লেগে অন্তত তিন শতাধিক ঘর পুড়ে যায়। অনেক রোহিঙ্গা পরিবার এখনো দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।