মো. সাইদ (২৮) মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু জেলার ফকিরা বাজার এলাকায় বাস করতেন। ২০১২ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে সেখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে সপরিবারে ভারতের জম্মু চলে যান। সেখানে দিনমজুরের কাজ করতেন। সম্প্রতি সেখানকার পুলিশ কড়াকড়ি শুরু করায় রোহিঙ্গাদের সেখানে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। এছাড়া বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ভালো অবস্থায় থাকার খবরে তিনি পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দালালের মাধ্যমে জম্মু থেকে শুক্রবার উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে তার শ্বশুরের কাছে চলে আসেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রীসহ পরিবারের ৬ সদস্য।
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আটক সাইদের মতে, ভারতের জম্মু ও অনান্য এলাকায় বসবাসরত অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসার জন্য প্রস্তুত। গত কয়েকদিনের অবস্থা দেখে তাই মনে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার উখিয়ার ক্যাম্পে ভারত থেকে এসে গোপনে অবস্থান নেয়া ২ পরিবারের ১১ জন, শুক্রবার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প থেকে এক পরিবারের ৬ জনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ। তাদেরকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে ১৪ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক নাইমুল হক জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মৌলভীবাজার বাস টার্মিনাল থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে এরা কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। আটক রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নানাভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ উদ্বেগের।












