রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন সম্ভব নয়

কক্সবাজারে খলিলুর

| শনিবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের (আরাকান) বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমরা সব দরজা খোলা রেখেছি। সকলের সঙ্গে আলাপ করছি।

প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট ও সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান কক্সবাজারের টেকপাড়া আছিমং পেশকার পাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী মাহা সাংগ্রেং পোয়ে বা জলকেলি উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে এদিন দুপুরে তিনি উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। খবর বিডিনিউজের।

খলিলুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে আরাকানের যে অবস্থা তাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদভাবে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব নয়। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি যেন আরাকানে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরে আসে, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি মনে করেন, যদি সকল দেশ একসঙ্গে কাজ করে, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সহজতর হয়ে উঠবে।

মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ‘প্রত্যাবাসনযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টিকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করেন খলিলুর রহমান। গতকাল দুপুরে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জুমা পড়ার কথা তুলে ধরে খলিলুর রহমান বলেন, আমি তাদের বলেছি জাতিসংঘের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হচ্ছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের সংঘবদ্ধ এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে তারা তাদের ভবিষ্যৎ আকাক্সক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে কথা বলতে পারবে। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী ঈদ নিজ দেশে করার রোহিঙ্গাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান রাখাইন সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাং পরিদর্শন করেন। এ সময় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সকল ধর্ম, নৃগোষ্ঠী ও সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ একটি দেশ। দেশে এখন উৎসবের আমেজ চলছে।

এমন আয়োজন আগামীতে এ দেশের সংস্কৃতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। ক্যাং পরিদর্শনের সময় খলিলুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপথশিশুদের সঙ্গে দুই উপদেষ্টার মধ্যাহ্ন ভোজ
পরবর্তী নিবন্ধব্যাটারি রিকশা নালায়, শিশু নিখোঁজ