রোবট নিয়ে একটি দিন। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম রোবোটিক্স অ্যান্ড রিসার্চ অলিম্পিয়াড ২০২১। গত ২০ নভেম্বর সকালে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রাঙ্গণে অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।
প্রথম পর্বের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সকাল থেকে রোবটিক্স কুইজ প্রতিযোগিতা, রোবট প্রজেক্ট শোকেসিং, রোবট প্রস্তুতকরণ ওয়ার্কশপ ও রোবটের বিভিন্ন রকম প্রতিযোগিতা যেমন ফুটবট, লাইন ফলোয়ার কম্পিটিশন, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মিউজু বাস ও ৪ডি মুভি বাস প্রদর্শন।
রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এবং প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত অলিম্পিয়াডে বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্লোবাল ফিলানথ্রপিক প্লানেট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন মাহি, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান আশরাফ এইচ খান স্বপন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আমির মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উপাধ্যক্ষ ইইউএম ইন্তেখাব, রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের মিডিয়া উপদেষ্টা সাংবাদিক মুহাম্মদ সেলিম জাবেদ এবং রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাহেদ হোসাইন নোবেল।
বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল ফিলানথ্রপিক প্লানেট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক শুকান্ত শর্মা শিপ্লব, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের কিউরেটর সুকল্যান বাছাড় ও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কম্পিউটার সায়েন্স ও আইটি ডিপার্টমেন্টের হেড নুরুল আফসার, রিসার্চ ল্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি মোহাম্মদ হেফাজত বাবলু, সাধারণ সম্পাদক জিনিয়া আফরিন সূচি প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে বিকেলে ‘রোবটিঙ প্রযুক্তি ও গবেষণা : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ বিষয়ে সেমিনার এবং অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুহাম্মদ মুনীর চৌধুরী। গেস্ট অব অনার ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কৌশিক দেব, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মুহাম্মদ নুরুল কবীর প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, রোবটিঙ প্রযুক্তি ও গবেষণা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটালাইজেশন প্রজেক্টের অংশবিশেষ। আগামীর বাংলাদেশ হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। রোবটিঙ প্রযুক্তি এবং সায়েন্টিফিক ডেভেলপমেন্টে জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে আজকের তরুণ বিজ্ঞানীরাই অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক ব্যবস্থাপনায় উন্নতমানের রোবটিঙ প্রযুক্তি ব্যবহার এবং দেশকে স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে রোবটিঙ প্রযুক্তি অভূতপূর্ব পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।
বক্তারা খুদে এবং তরুণ বিজ্ঞানীদের তাদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। সেমিনার শেষে সারা দেশ থেকে রোবটিঙ ক্যাটাগরি ও উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩১ জন বিজয়ীকে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।