রোজিনা ইস্যুকে পুঁজি করে দেশবিরোধী চিহ্নিত মহল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কারো কর্মকাণ্ড যেন তাদের হাতে অস্ত্র তুলে না দেয় বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনার স্বামীর ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতা এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোজিনার সঙ্গে অতীতে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি তদন্তেই বেরিয়ে আসবে। খবর বাংলানিউজের। গতকাল শনিবার দুপুরে মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে ডিরেক্টর গিল্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দীন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগরসহ নির্বাহী সদস্যরা সভায় যোগ দেন। এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন রোজিনা ইস্যুতে বক্তব্য দিতে থাকে তখন বুঝতে হবে, এটিকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শিক্ষা উপমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মাহমুদ বলেন, মতের অমিল হলেই কাউকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা সব রীতির বাইরে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ফিলিস্তিনে নারী-শিশুসহ শতশত প্রাণহানি ঘটার পর বিবৃতি দিতে বহুদিন নিলেও বিচারাধীন রোজিনা ইস্যুতে তাদের তাৎক্ষণিক মন্তব্য দেওয়া বিষয় উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এক কর্মকর্তার সার্বজনীন গণমাধ্যম বিষয়ক বক্তব্যকে রোজিনার বিষয়ে জাতিসংঘের বক্তব্য বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আবদুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।