রে ডগলাস ব্র্যাডবেরি(১৯২০–২০১২)। লেখক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি অলীক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, ভীতিপ্রদ সাহিত্য, ও রহস্যকাহিনিসহ বিভিন্ন ধরনের কথাসাহিত্য রচনা করেছেন। প্রতীকী ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস ফারেনহাইট ফোর ফিফটি ওয়ান (১৯৫৩) এবং তাঁর বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ও ভীতিপ্রদ গল্পের সংকলনের জন্য প্রসিদ্ধ ব্র্যাডবেরি বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রখ্যাত মার্কিন লেখক। ব্র্যাডবেরি ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ২২ শে আগস্ট ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ওয়াউকেগ্যানে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা এস্থার (মোবের্গ) ব্র্যাডবেরি (১৮৮৮–১৯৬৬) ছিলেন সুয়েডীয় অভিবাসী এবং পিতা লিওনার্ড স্পাউল্ডিং ব্র্যাডবেরি (১৮৯০–১৯৫৭) ছিলেন ইংরেজ বংশোদ্ভূত পাওয়ার ও টেলিফোন লাইনম্যান তার নামের মধ্যাংশ ‘ডগলাস’ রাখা হয় অভিনেতা ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কসের নামানুসারে। তাঁর উল্লেখযোগ্য কর্মসমূহ হলো দ্য মার্শিয়ান ক্রনিকলস (১৯৫০), দি ইলাস্ট্রেটেড ম্যান (১৯৫১) ও আই সিং দ্য বডি ইলেকট্রিক (১৯৬৯)। তাঁর বেশিরভাগ উল্লেখযোগ্য রচনা কল্পনাধর্মী সাহিত্যকর্ম হলেও তিনি অন্যান্য ধারার সাহিত্যও রচনা করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে ড্যান্ডেলিয়ন ওয়াইন (১৯৫৭) এবং কল্পিত স্মৃতিকথা গ্রিন শ্যাডোস, হোয়াইট হোয়েল (১৯৯২)। ব্র্যাডবেরি অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের পুলিৎজার পুরস্কার। তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের পাণ্ডুলিপি রচনা ও পরামর্শ প্রদান করেছেন, সেগুলো হলো মবি ডিক ও ইট কেম ফ্রম আউটার স্পেস। তাঁর অনেকগুলো সাহিত্যকর্ম কমিক বই, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে রূপায়িত করা হয়েছে।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দের তাঁর মৃত্যুর পর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ব্র্যাডবেরিকে ‘মূলধারার সাহিত্যে আধুনিক বিজ্ঞান কল্পকাহিনি নিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ লেখক’ বলে উল্লেখ করে। তিনি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা ভুষিত হন। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ফারেনহাইট ফোর ফিফটি ওয়ান উপন্যাসের জন্য প্রমিথিউস পুরস্কার, ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে তার নামানুসারের একটি গ্রহাণুর নামকরণ করা হয় ৯৭৬৬ ব্র্যাডবেরি, ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে টুলসা লাইব্রেরি ট্রাস্ট কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক হেলমেরিখ পুরস্কার, ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে দ্য হ্যালোউইন ট্রি–এর চিত্রনাট্যের জন্য ডেটাইম এমি পুরস্কার জয়, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ন্যাশনাল বুক ফাউন্ডেশন থেকে মার্কিন সাহিত্যে অনবদ্য অবদানের জন্য পদক লাভ, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের জন্য ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামাঙ্কিত তারকা খচিত হয়, ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে উডবারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট লাভ করেন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।