রেসকিউ টিমের অদক্ষতায় পালিয়ে গেল আটক মেছোবাঘ !

হাটহাজারী প্রতিনিধি | সোমবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

হাটহাজারীতে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে এসে ফাঁদে আটক বিপন্ন প্রজাতির একটি মেছোবাঘ বনবিভাগের রেসকিউ টিমের অদক্ষতার কারণে হস্তান্তরের সময় পালিয়ে গেছে।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত প্রায় ১টার দিকে উপজেলার গুমাণমর্দ্দন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ওয়ার্ডের হোসেন কাজীর বাড়ির আমির আহমদের পুত্র আবদুল হালিমের মুরগী ফার্মে গত বেশ কিছুদিন ধরে মুরগী কমে যাচ্ছিলো। তিনি ধারণা করেছিলেন হয়তো বিড়াল বা শেয়াল গভীর রাতে ফার্মে ঢুকে মুরগী খেয়ে ফেলছে।

কিন্তু কিছুদিন পূর্বে প্রতিদিনের মতো সকালে ফার্মে এসে মুরগী কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মৃত মুরগী এবং ফার্মের আশপাশে ভিন্ন রকম পশম দেখতে পেলে তার সন্দেহ হয়। তাই ফার্মে তিনি বড় আকারের একটি খাঁচা তৈরী করে সেটাকে গত শনিবার রাতে ফাঁদ হিসেবে বসিয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে যান।

পরে রবিবার সকালে খামারে এসে দেখেন ওই খাঁচায় বড় আকারের একটি মেছোবাঘ (মেছো বিড়াল) আটকে আছে। সকালের দিকে মেছোবাঘ আটকের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ কে জানানোর পরও অজ্ঞাত কারনে তারা বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সেটি রেসকিউ করতে ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় এ প্রতিবেদক হাটহাজারী বনবিট পরীক্ষণ ফাঁড়ির রেইঞ্জার সাইফুলকে বিষয়টি জানালে তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে রেসকিউ করতে টিম পাঠান।

পরে রাতে আটক মেছোবাঘটিকে আটক হওয়া খাঁচা থেকে বের করতে গেলে সেটি তাদের ফাঁকি দিয়ে পুনরায় লোকালয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, সকালে বনবিভাগকে খবর দিলেও তারা বিষয়টিকে গুরুত্বহীন মনে করে দিনের প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত সেটি উদ্ধার করতে আসেননি।

ফাঁর্মের মালিক হালিম জানান, পুরো দিন শেষে রাত প্রায় ১ টার দিকে আটক মেছোবাঘটিকে উদ্ধার করতে আসলেও তাদের অসাবধানতার কারনে পুনরায় সেটি পালিয়ে যায়।

গুমাণমর্দ্দন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বেলা আড়াইটার দিকে দৈনিক আজাদীকে জানান, আমিও মেছোবাঘ আটকের খবরটি শুনেছিলাম।

জানতে চাইলে উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্র খবরটি ওয়াল্ডলাইফ ডিভিশনকে ইনফর্ম করি। কিন্তু ওনারা কেউ যাননি, যখন আবার খবর পেলাম প্রায় সন্ধ্যার দিকেও তিনারা যাননি। বিষয়টি যখন তারা অবহেলা করছেন তখন আমরা লোকাল রেসকিউ টিমকে সাথে নিয়ে আমাদের কিছু লোকজন গিয়ে মেছোবাঘটি রেসকিউ করার সময় নেট ছিড়ে স্থানীয় জঙ্গলে চলে গেছে।

বন্যপ্রাণী হতাহত বা আঘাত ছাড়া অবমুক্ত হয়েছে এটাই শুকরিয়া বলেও জানান তিনি।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ দিকে দৈনিক আজাদীকে জানান, মেছোবাঘটিকে রেসকিউ করার সময় নেট ছিড়ে স্থানীয় জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গেছে বলে শুনেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধথানচিতে ২২ পর্যটকের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিল কেএনএফ সশস্ত্র বাহিনী
পরবর্তী নিবন্ধগজল গায়কপঙ্কজ উদাস আর নেই