রেললাইনের পাশে মাছ–সবজির দোকান খুলে বসেন দোকানিরা। আর লাইনে দাঁড়িয়ে ওই সবজি কেনেন ক্রেতারা। ট্রেন আসলে তাড়াহুড়ো করে দু’পাশে দাঁড়িয়ে যায় ক্রেতা– বিক্রেতারা। ট্রেন চলে গেলে ফের শুরু হয় আগের মতো কেনাবেচা। এটি বোয়ালখালী উপজেলা সদরের অস্থায়ী কাঁচাবাজারের নিত্যদিনের চিত্র। স্থায়ী কোনো বাজার না থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে রেললাইনে অবস্থিত বাজার থেকেই নিয়মিত বাজার করছেন বোয়ালখালী উপজেলা সদরের বাসিন্দারা। রেললাইনের ওপর বাজার বসানোর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় উপজেলা সদরের বাসিন্দারা। এই বাজার সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থায়ী বাজার স্থাপনের দাবি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, স্থায়ী কোনো বাজার বসার স্থান না থাকায় অস্থায়ীভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের ওপর বসতে হয়েছে। আগে উপজেলা সদরে একটি বাজার ছিল। সরকারি ভবন নির্মাণ হবে বিধায় সে স্থান ছেড়ে দিতে হয়েছে তাদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের ওপর বসে ব্যবসা করতে হচ্ছে।
রেল লাইনের দু’পাশ ঘিরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকে কাঁচাবাজার। রেল যাতায়াতের সময় প্রতিবারই দোকানিদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা যায়। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই চলছে এ বাজারের কার্যক্রম। বাজারের মাছ বিক্রতা ঝন্টু দাশ বলেন, উপজেলা সদরে একটি বাজার ছিল। সরকারিভাবে নতুন ভবনের কাজ শুরু করার কারণে আমাদের উঠে যেতে হয়। উপজেলাতে কোনো স্থান না পেয়ে নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর বসতে হয় আমাদের।
সবজি বিক্রেতা কামাল উদ্দিন বলেন, ঝুঁকি হলেও পেটের দায়ে বসতে হচ্ছে রেল লাইনের উপর। এই ব্যবসা ছাড়া আমাদের আয়ের আর কোনো পথ নেই।
বাজার করতে আসা আব্দুল মাবুদ বলেন, বোয়ালখালী উপজেলাতে নেই কোনো স্থায়ী বাজার। যার কারণে ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর বসেছে বিক্রেতারা। বোয়ালখালীর বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন কাজে আসে। বাড়িতে যাওয়ার সময় বাজার করে নিয়ে যায়। উপজেলাতে একটি ঝুঁকিমুক্ত স্থায়ী বাজার খুবই প্রয়োজন।
বোয়ালখালী পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, বাজার বসার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজ শুরু করেছি। আশা করি শীঘ্রই নতুন স্থানে ঝুঁকিমুক্ত বাজার বসতে পারবে।