নগরীর সদরঘাট মোড় এলাকায় রেল স্টেশনের সীমানা প্রাচীর ভেঙে রাতের আঁধারে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান ও বসতঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে ভূ–সম্পদ বিভাগ। গতকাল বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ১২টি দোকান আর ৫টি বসতঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ–সম্পত্তি কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা।
এদিকে সকাল ১০টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় দুপুর আড়াইটার দিকে। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য যে স্কেভেটর (ভেকু) ঠিক করা হয়েছিল, অবৈধ দখলদাররা তার মালিককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় সে স্কেভেটর দেয়া নি। পরবর্তীতে আর একটি স্কেভেটর ঠিক করা হলে তাকেও ৮–৯টি মোটরসাইকেলযোগে অবৈধ দখলদাররা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতে বাধা দেয়। পরে বিভাগীয় ভূ–সম্পত্তি কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা আরএনবির টিম নিয়ে গিয়ে নিরাপত্তা দিয়ে তাদের এনে অভিযান শুরু করেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ–সম্পত্তি কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পর রেলওয়ের ৪০ শতক ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে যার মূল্য প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা। রেলের জায়গা দখল করে দোকান করা হয়েছিল। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে আমরা তাদের নোটিশ দিয়েছিলাম। তারা রেলের ভূমি ব্যবহারের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। চট্টগ্রাম রেলওয়ের নতুন স্টেশনের সীমানা ভেঙে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছিল। নতুন রেল স্টেশনের নিরাপত্তায় সীমানা প্রাচীর বা দেয়াল নির্মাণের জন্য এই স্থাপনাগুলো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এসব অবৈধ স্থাপনা যারা তৈরি করে ব্যবসা করছিল তাদের একজন জানায়, রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের (আরএনবি) দোকান প্রতি ২ লাখ টাকা, আর মাসে ৫ হাজার টাকা ভাড়ায় রেলের এসব জায়গায় তারা অবৈধভাবে দোকান গড়ে তুলেছিল। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেলওয়ে পুলিশ ও আরএনবি।