রেলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন

মোহাম্মদ ওয়াহিদ মিরাজ | মঙ্গলবার , ৭ অক্টোবর, ২০২৫ at ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

আমার দাপ্তরিক কাজে বা নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ইদানিং বেশ কয়েক বার আমাকে ঢাকা যেতে হয়েছে। ২/১ বার ব্যতিত অধিকাংশ ভ্রমণের যাত্রাই রেলপথে ছিল। এর মূল কারণ হলো অন্য অনেকের মতো আমিও রেলপথে যাতায়াতকে আরামদায়ক, নিরাপদ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানো, কোলাহলধুলাবালি মুক্ত, অর্থ সাশ্রয়ীসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা সম্বলিত মর্মে মনে করি। রেলওয়ের অপারেশনপরিবহণ ও মার্কেটিং দপ্তর হতে জানা গেছে, ১২২টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট ১০ দিন পূর্ব হতে শতভাগ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হয়। সাধারণতঃ দেখা যায় টিকেট বিক্রি হওয়ার ২/১ দিনের মধ্যেই অনলাইনে সব টিকেট বিক্রি তথা উধাও হয়ে যায়। লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেনে যাত্রীদের তিল ধারণেরও জায়গা থাকে না। এর ফলে বোঝা যায় যে, ট্রেনের টিকেটের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে ট্রেনের টিকেট কালো বাজারমুক্ত করার জন্য অনলাইনে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হলেও তা পুরোপুরি আলোর মুখ দেখেনি। ফলে যাত্রার ৭/৮ দিন পূর্বে অনলাইনে টিকেট না থাকলেও কালোবাজারীর হাতে যাত্রার ১ ঘন্টা পূর্বেও টিকেট ঠিকই পাওয়া যায়, তবে তা চড়া মূল্যে।

রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে বা অনলাইনে সার্চ দিলে বুঝা যায়, যে পরিমাণ টিকেট বিক্রি করা হয় তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টিকেটের চাহিদা রয়েছে। এসব দৃশ্য দেখে বা যাত্রীদের দাবির মুখে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিগণ রেলের সংখ্যা বৃদ্ধির চিন্তা ভাবনার কথা জানালেও পরে অদৃশ্য কারণে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। তবে এর জন্য বাস কোম্পানীর সমিতির সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের কর্তা ব্যক্তিগণের গোপন বোঝাপড়াকেও অনেকে দায়ী মর্মে মনে করে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বর্তমানের তুলনায় ৩/৪ গুণ রেল বৃদ্ধি করা হলেও যাতায়াতকারীদের মাঝে আরো চাহিদা থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্পষ্ট প্রেসক্রিপশন : কার দায়, কার ভোগান্তি?
পরবর্তী নিবন্ধদোষ