রেলের পূর্বাঞ্চলে ইঞ্জিন সংকট

ঈদে নির্বিঘ্নে যাত্রী পরিবহনে প্রয়োজন ১১৯টি ইঞ্জিন প্রতিদিন পাওয়া যায় ৭৫ থেকে ৮০টি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৬ মে, ২০২৫ at ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে প্রতিদিনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১১৯টি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) প্রয়োজন হয় পরিবহন বিভাগের। কিন্তু প্রতিদিন পাওয়া যায় ৭৫ থেকে ৮০টি। স্বাভাবিক দিনগুলোর চেয়ে ঈদের সময় ইঞ্জিনের প্রয়োজন অনেক বেড়ে যায়। ঈদে স্পেশাল ট্রেনও চলাচল করে। এবারও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় পূর্বাঞ্চলের নির্বিঘ্নে যাত্রী পরিবহনে ১১৯টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ পাওয়ার কন্ট্রোলার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই জন্য বাড়তি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা ইচ্ছে করলে ইঞ্জিন বাড়াতে বা কমাতে পারি না। মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে যতটি ইঞ্জিন সরবরাহ করা হয়তা দিয়ে আমাদের ট্রেন পরিচালনা করতে হয়।

পূর্বাঞ্চলের চিফ পাওয়ার কন্ট্রোলার মিজানুর রহমান বলেন, রেলওয়ের নতুন টাইমটেবিল অনুযায়ী আমাদের প্রতিদিন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য ১১৯টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা প্রতিদিন গড়ে ৭৫ থেকে ৮০টির মত ইঞ্জিন পেয়ে থাকি। আসন্ন ঈদুল আজহায় কতটি ইঞ্জিন পাওয়া যাবে তা এখনো বলতে পারছি না। আমাদের (পূর্বাঞ্চলে) ইঞ্জিনের সংকট প্রকট।

মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে পাহাড়তলী ডিজেলশপে পুরোনো ইঞ্জিনগুলো মেরামতের কাজ চলছে।

তবে দক্ষ জনবল সংকট এবং ইঞ্জিন মেরামতের জন্য যে মানের যন্ত্রাংশ দরকার সেই মানের যন্ত্রাংশের অভাব রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

বেশ কয়েকজন ট্রেন চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ডিজেলশপে দক্ষ লোকবল না থাকায়, নতুন লোকবল দিয়ে ইঞ্জিন মেরামত করে আজকে দেয়ার পর সেটি আবার পরের দিন মেরামতের জন্য ডিজেল শপে ঢুকাতে হয়। ইঞ্জিন মেরামতে যে মানের যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয় সেই মানের যন্ত্রাংশের অভাব রয়েছে। অপরদিকে ডিজেলশপে ইঞ্জিন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল নেই। প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন পাওয়া গেলে ট্রেন পরিচালনায় কোনো সমস্যা হয় না বলে জানান তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২০২৮ সালের মধ্যে ভূমিসেবা পুরোপুরি হয়রানিমুক্ত করতে কাজ করছে সরকার
পরবর্তী নিবন্ধএবার হজের খুতবা দেবেন শেখ সালেহ বিন হুমাইদ