বন্ধ নেই রেলের জমিতে অবৈধ দখলদারদের বাণিজ্য। তাদের কাছে যেন অসহায় রেলওয়ে পুলিশ, রেল কর্মকর্তা ও আরএনবি (রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী) সদস্যরা। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলেও উচ্ছেদকৃত জমি সংরক্ষণের অভাবে আবার বেদখল হয়ে যাচ্ছে। টাইগারপাস রেলওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিশাল জায়গা দখল করে দুই পাশে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলা মার্কেট এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রেল ক্রসিংয়ে যাওয়ার জন্য রেলওয়ের বিশাল জায়গায় প্রায় শতাধিক দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ‘দোকানগুলো ভাড়া দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের ভয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তা এবং আরএনবি কেউই মুখ খুলছেন না।’
এক চায়ের দোকানদার এবং কাপড়ের দোকানদারের সাথে কথা হলে তারা কার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন সেটা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে একটি দোকানের মাসিক ভাড়া ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা এবং একটি দোকান নিতে অগ্রিম এক লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত দিতে হয়েছে বলে জানান। এসময় স্থানীয় এক ভাসমান সবজি বিক্রেতা আজাদীকে জানান, এই পুরো এলাকাটি সিআরবিতে ডবল মার্ডার মামলার আসামি এক ছাত্রলীগ নেতার দখলে। এই দোকানগুলো তিনি এবং তার অনুসারীরা ভাড়া দিয়েছেন।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশের সার্কেল এ এসপি কামরুল ইসলাম আজাদীকে জানান, আসলেই আমরা মন থেকে চাই এগুলো উচ্ছেদ হোক। এগুলো দেখতে আমাদেরও ভালো লাগে না। এগুলো উচ্ছেদ হলে আমাদের এলাকাটাও পরিস্কার হবে। পুরো এলাকা দেখতেও ভালো লাগবে। আসলে এগুলোর সাথে রেলের লোকেরাও জড়িত। তারা চাইলে এগুলো দিনে দিনে উচ্ছেদ করতে পারে। রেলের লোকেরা জড়িত বলেই এগুলো উচ্ছেদ হয় না। উচ্ছেদের জন্য রেলওয়েকে উদ্যোগ নিতে হবে। আপনারা পত্রিকায় ছবিসহ দিয়ে ভালো করে নিউজ করেন। তাহলে চোখে পড়লে উচ্ছেদ হবে। রেলের জমি দখল করে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের গড়ে তোলা মার্কেট উচ্ছেদের ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজাদীকে জানান, করোনার কারনে দীর্ঘদিন উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এখন উচ্ছেদ করতে কোন বাধা নেই। একটা নিউজ করা হলে এটা দিয়ে একটা মাঠ প্রতিবেদন তৈরী করে উচ্ছেদের উদ্যোগ নেবো।