‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গেছেন। রেলওয়ের ইতিহাসে এই প্রথম কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদান প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এই প্রশিক্ষণে বিভিন্ন লোকোমোটিভ কারখানা ও লোকোশেডের মোট ১০ জন এবং সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা গতকাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অংশ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণটি ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থ সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গত ৮ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকী এই তথ্য জানান।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা গত সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এর আগে প্রকল্পের আওতায় পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় মোট ৬০ জন কর্মী অংশগ্রহণ করেন। কোরিয়ান প্রশিক্ষকরা তাদের প্রশিক্ষণ দেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে রেলওয়েকে মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেন। এই মূল্যায়নের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশিক্ষণার্থী ও সমন্বয়করা হলেন রেজওয়ান উল–ইসলাম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো), চট্টগ্রাম; নিরঞ্জন সিকদার, ঊর্ধ্বতন উপ–সহকারী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল); শহিদুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন উপ–সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল); মোজাম্মেল হক, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি (গ্রেড–১); মামুনুর রশিদ, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি (গ্রেড–১); শামীম হোসেন, ইলেক্ট্রিশিয়ান (গ্রেড–১); শাহিনুর আলম, ইলেক্ট্রিশিয়ান (গ্রেড–১); হারুন অর রশিদ, ফিটার গ্রেড–১; সৈয়দ ওয়াকত হোসেন, ফিটার গ্রেড–১; মো. সালাউদ্দিন, ফিটার গ্রেড–১; রাসেল আলম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভ কামনা জানান এবং আন্তরিকভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের অনুরোধ জানান। দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং প্রকল্প পরিচালককে ধন্যবাদ জানান তিনি।
রেল সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কর্মী পর্যায়ে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে কাজ করতে উৎসাহ যোগাবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।











