রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারগুলো পাথরে ঢেকে দেওয়া হলো

সীতাকুণ্ডে ওইসব স্লিপার দুয়েকদিনের মধ্যে সরানো হবে

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | সোমবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে পাথর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলো রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্ত কংক্রিটের স্লিপারগুলো। দৈনিক আজাদীতে গতকাল এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারগুলোকে রেললাইনের পাথরে ঢেকে দিতে কাজ শুরু করেন শ্রমিকেরা। দুয়েকদিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারগুলো সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড প্রগতি গেট এলাকার রেলওয়ের ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারের মেরামত কাজ করছেন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক। তারা ট্রেন দুর্ঘটনায় ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ওই স্লিপারগুলো না পাল্টে রেললাইনের পাশ থেকে পাথর নিয়ে ভাঙা অংশগুলো চাপা দিচ্ছেন।

এক শ্রমিক বলেন, তারা রেলওয়ের মনোনীত ঠিকাদারের অধীনে দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে কাজ করছেন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া স্লিপারগুলো মেরামতে তাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। রেললাইনে থাকা পাথরগুলোর ময়লা সরিয়ে সে পাথরগুলো আবার স্লিপারের উপর বসিয়ে দিতে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা সেই অনুয়ায়ী কাজ করছেন। বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের প্রগতি গেট এলাকায় রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে কি ম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. আলাউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত তার অংশের প্রায় এক হাজার কংক্রিটের স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি রেললাইনের পাথরগুলো চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত স্লিপারগুলো মেরামতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। দুয়েকদিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া স্লিপারগুলো সরিয়ে নেয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন। তার আগে রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পাথরগুলো একত্রিত করে স্লিপারের উপরে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে এ অংশে ট্রেনের গতি কমিয়ে চলাচল করছে। উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি সকালে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ গেট সংলগ্ন এলাকায় ঢাকামুখী চট্টলা এক্সপ্রেসের পেছনের বগি লাইনচ্যুত হয়। বগিটি প্রায় এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়ার কারণে রেললাইনের অনেকগুলো স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপরাধী যে দলের হোক কোনো অবস্থাতে ছাড় দেওয়া হবে না
পরবর্তী নিবন্ধলায়নিজমকে সুসংহত ও বেগবান করে মানবিক কার্যক্রম