স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে আজ সোমবার থেকে চালু হতে যাচ্ছে সিআরবির রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালটিতে ১৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ৬ জন নার্স পদায়ন করেছে। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত প্রায় চিকিৎসক ও নার্স যোগদান করেছেন। বাকি চিকিৎসকরা আজ যোগদান করার পর হাসপাতালের আউটডোর সার্ভিস সবার জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ। তবে ইনডোর সার্ভিস পর্যায়ক্রমে চালু হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে উক্ত হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে হাসপাতালটিতে বর্তমানে অর্থপেডিক্স, গাইনী অ্যান্ড অবস, মেডিসিন, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওলজি, ইএনটি, ডেন্টাল এবং সার্জারি সেবা প্রদান করা হবে। এছাড়া এখানে ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজির সেবা পাওয়া যাবে।
রেলওয়ে থেকে জানানো হয়, রেলওয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল চট্টগ্রামে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পরিচালিত হাসপাতালসমূহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও রেলওয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার উদ্দেশ্যে গত ২১ এপ্রিল উভয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকের আলোকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সর্বসাধাণের চিকিৎসাসেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে ‘রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল চট্টগ্রাম’ করা হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স পদায়ন করা হয়েছে। সেই সাথে আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধি ও সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে রেল কর্মকর্তা–কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গের পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে এই হাসপাতালে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ আজাদীকে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কিছু ডাক্তার পেয়েছি। আগামীকাল (আজ) আরো কিছু ডাক্তার আসবে। সোমবার থেকে আমরা আউটডোর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করব। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৪ তারিখ উদ্বোধন করা হবে। সচিব মহোদয় উপস্থিত থাকবেন।
এখন শুধুমাত্র আউটডোর চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইনডোর চালু করতে একটু সময় লাগবে। ইনডোর চালু করতে গেলে রোগীদের খাওয়ার–দাওয়ারের বিষয় আছে। রোগীদের থাকার জন্য বেডের প্রয়োজন আছে। এসব কিছুর জন্য একটু সময় লাগবে। খাবারের ব্যাপারে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। তাই এখন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আউটডোর কার্যক্রম চলবে।
ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ বলেন, ১৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেওয়া হচ্ছে। ৬ জন নার্স পদায়ন করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে বর্তমানে অর্থপেডিক্স, গাইনী অ্যান্ড অবস, মেডিসিন, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওলজি, ইএনটি, ডেন্টাল এবং সার্জারি সেবা প্রদান করা হবে। এছাড়া এখানে ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজির সেবা প্রদান করা হবে।