বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়ায় মামলায় রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছালামত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ছালামত আলী রাউজানের নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তবে একসময় জাতীয় পার্টি করতেন তিনি। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পদ পান। তিনি বিএনপির হয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তাকে আটক করে রাউজান থানা পুলিশ। তবে তৎকালীন নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল আলমের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন তিনি তৎকালীন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম।
কোতোয়ালী থানার ডিউটি অফিসার গতরাতে আজাদীকে জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত বছরের (২০২৪) ৩ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় (নং৭) কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছালামত আলীকে।
এদিকে সংগঠনের সভাপতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতি’। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত কার্যকারী পরিষদের জরুরি সভা থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মুক্তির জন্য প্রসাশনের প্রতি দাবি জানান। সহসভাপতি মো. জানে আলমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ আব্দুস শুক্কুরের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ফারুক শিবলী, কাজী মো মাহবুবুর রহমান, কাজী মো ইদ্রিস, জাফর আহম্মদ, মো. কফিল উদ্দিন, মো. মেহেরাজ, মো. আবদুল মোমেন, মো সালাহ উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মো. লিটন, এস এম মিজানুর রহমান, মো জয়নুল আবেদীন, কফিল উদ্দিন চৌধুরী, শওকত হোসেন সুমন, জাহেদ হোসেন মুন্না, মাহমুদুল হক, তৌহিদুল আলম ও মো. লিয়াকত।