রেড লেডি পেঁপের ভালো ফলনে হাসি ফুটেছে বোয়ালখালীর পূর্ব আমুচিয়ার স্কুল শিক্ষক শাহজাহানের মুখে। শিক্ষকতার পাশাপাশি বাপ-দাদার রেখে যাওয়া পতিত জমিতে শখের বশে পেঁপে চাষে উদ্যোগী হয়ে পান অনুকরণীয় সাফল্য। মাত্র ৩-৪ মাসেই ৫০ শতক পতিত জমিতে পেঁপের চারা লাগিয়ে লাখ টাকা গুণছেন এখন তিনি।
শিক্ষক শাহজাহান বলেন, সবজি বাগান করার শখ আমার বহুদিন থেকেই। বাড়ির পাশে বেশ কিছু পতিত জমি রয়েছে আমাদের। তাতে কী চাষ করা যায় তা নিয়ে ভাবছিলাম। এ নিয়ে পরামর্শের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে তারা সরেজমিনে দেখে রেড লেডি নামের নতুন এক জাতের পেঁপে চাষের কথা বলেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি প্রাথমিকভাবে ৫০ শতক জমিতে ৬শ পেঁপে চারা রোপণ করি এবং সাফল্য পাই। মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে প্রতিটি গাছে গড়ে ২০ থেকে ২৫টি করে পেঁপে ধরে। একেকটা পেঁপের ওজন এক কেজি থেকে দুই কেজি। শুরু থেকেই এ পর্যন্ত এসব গাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার পাকা পেঁপে বিক্রি করেছি। বাকি যেগুলো এখন আছে সেগুলো বিক্রি করে আরো ৩ লক্ষাধিক মত আয় হতে পারে বলে আশা করছি। এদিকে পেঁপে চাষে সাফল্যের খবর শুনে আশপাশের অনেকেই এখন যোগাযোগ করছেন তার সাথে। তিনিও সাধ্যমত পরামর্শ দিয়ে পেঁপে চাষে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন তাদের। যে কেউ এ পেঁপের চাষ করে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি স্বাবলম্বীও হতে পারে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল দে বলেন, পরিশ্রম ও লক্ষ্য অটুট থাকলে কৃষি কাজেও সফল হওয়া সম্ভব তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এলাকার সন্তান শাহজাহান। প্রথমবারের মতো পেঁপে বাগান করে এলাকায় বাজিমাত করে দিয়েছেন তিনি। তার এ বাগান দেখে এলাকার অনেকেই এখন উৎসাহ পাচ্ছেন পেঁপে চাষ করার। শাহজাহানের মত এলাকার শিক্ষিত তরুণরা এই পেশায় এগিয়ে আসলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন সহজ হবে। সেই সাথে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগও। বোয়ালখালী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আতিকুল্লাহ বলেন, রেড লেডি একটি বিদেশি জাতের পেঁপে। স্বল্প সময়ে অধিক ফলন ও দেশের আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর জাতটি। শিক্ষক শাহজাহান আমাদের পরামর্শ মোতাবেক এসএসিপি প্রকল্পের অর্থায়নে তার কিছু পতিত জমিতে এ জাতের পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার মতো অন্যরা এগিয়ে এলে তাহলে উপজেলা কৃষি বিভাগ তাদের পাশে থাকবে।