হার দিয়ে বিপিএল শুরু করা চট্টগ্রাম জয়ে ফিরল দুর্দান্তভাবে। আর সে জয়ের সুখ স্মৃতি নিয়ে নিজ ভেন্যু চট্টগ্রামে আসছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। গতকাল দুর্দান্ত এক ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। দুই ম্যাচের একটিতে জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। আর দুই ম্যাচেই হেরেছে খুলনা।
লড়াইটা খুলনা টাইগার্স আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জর্সের না বলে দুই পাকিস্তানি আজম খান আর ওসমান খানের বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। আর সে দুই পাকিস্তানির লড়াইয়ে জয়টা ওসমান খানেরই। বিপিএলের এবারের আসরে এক ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি হলো একসাথে। আর সে সেঞ্চুরির লড়াইয়ে আজম খানের সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দিলেন ওসমান খান। এবার বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংটা মোটেও ভালো ছিল না চট্টগ্রামের। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দেখিয়ে দিল তাদের ব্যাটিং সামর্থ। অনেক রেকর্ডের এক ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নিল তারা। এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি, দুর্দান্ত এক উদ্বোধনী জুটি সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম পেল অসাধারণ এক জয়। এখন ঢাকার সে সুখ স্মৃতি চট্টগ্রামে কাজে লাগাতে চাইবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইগার্স ১২ রানে হারায় শারজিল খান এবং হাবিবুর রহমানকে। তবে তৃতীয় উইকেটে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তামিম এবং আজম খান। যোগ করেন ৯২ রান। ৩৭ বলে ৪০ রান করা তামিম ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর দলকে একাই টেনে নিয়ে যান আজম খান। পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান তুলে নেন এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। বলতে গেলে একাই লড়ে গেছেন। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা আজম খান সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৫৭ বলে। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৯টি চার এবং ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মঈন খানের ছেলে আজম খান। যা এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি। মূলত তারই সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ৫ উইকেটে ১৭৮ রানে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি।
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার ওসমান খান এবং ম্যাঙ ও ডাউড। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ১৪১ রান সংগ্রহ করে। যা এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। ৫০ বলে ৫৮ রান করে ফিরেন ম্যাঙ। জুটি ভাঙলেও ততক্ষণে দলকে জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে দিয়ে এসেছেন এই ওপেনার। এরপর যা করার সেই ওসমান খানই করেছে। দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দলকে ৯ উইকেটের জয় উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আফিফ হোসেন শেষটা করতে ওসমান খানকে সঙ্গ দিয়েছেন। ওসমান খান অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রান করে। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার উঠে ওসমান খানের হাতে।











