কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানার মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
এ মামলায় দুই দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল শুক্রবার পার্থকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া। অন্যদিকে পার্থর পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক মো. রশিদুল আলম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। খবর বিডিনিউজের।
এ মামলায় গত ২৫ জুলাই পাঁচ দিনের এবং ৩০ জুলাই তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাসসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। অন্যরা হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, ১২ দলের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম। চার দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবীর আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বঙ ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এর পর ‘বিএনপি ও জামায়াত–শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ও সক্রিয় অংশগ্রহণে’ অজ্ঞাতনামা ৩–৪ হাজার কর্মী দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় এবং টেলিভিশন ভবনে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ও পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়। পর দিন বিটিভির ঢাকা কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে রামপুরা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করার পর গত ২৯ জুলাই আদালতে হাজির করা হলে শিমুল বিশ্বাসসহ ছয়জনকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক।