নগরের রাহাত্তারপুল এলাকায় একটি করাতকলের কাঠ ও গাছের গুঁড়ি রাস্তা ও ফুটপাতের উপর রেখে পথচারিদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন সময়ে আপত্তি জানালেও কর্ণপাত করেনি করাতকল মালিক। অবশেষে এলাকাবাসীর এ সমস্যটির সমাধান করলেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল ওখানে উপস্থিত হয়ে করাত মালিককে সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর কাঠ ও গাছের গুঁিড় সরিয়ে নেয়া হয়। এসময় ভবিষ্যতে মানুষের চলাচলের পথে বাধা তৈরি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন প্রশাসক।
চসিক প্রশাসক গতকাল বিকেলে নগরীর চকবাজার ধুনিরপুল হতে রাহাত্তারপুল পর্যন্ত ‘নগরসেবায় ক্যারাভান’ কর্মসূচি পালনকালে তাৎক্ষণিক মানুষের সমস্যার সমাধান করেন। গতকাল ছিল অষ্টম কর্মসূচি। প্রশাসক স্কুটি চালিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন।
কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে মুরাদপুরের আগে নালার উপর অবৈধভাবে স্ল্যাব দিয়ে গাছের দোকান করার ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রশাসক। এসময় দোকানদারকে রোববারের মধ্যে নিজ উদ্যোগে দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া আরেকজনকে স্ল্যাব স্থাপনে সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি নেয়ার নির্দেশনা দেন। কর্মসূচি চলাকালে প্রশাসকের নির্দেশে বিভিন্ন সড়কের গর্ত ভরাটে প্যাচওয়ার্কও করা হয়। রাহাত্তারপুল এলাকায় জনসাধারণকে নিয়মিত পৌরকর পরিশোধের অনুরোধ করেন। এসময় দুই হাত তুলে উপস্থিত লোকজন পৌরকর পরিশোধে অঙ্গীকার করেন। এদিকে গতকাল কর্মসূচিতে বিভিন্ন পয়েন্টে হ্যান্ড মাইক দিয়ে বক্তব্য রাখেন খোরশেদ আলম সুজন। এসময় তিনি বলেন, ধুনিরপুল থেকে রাহাত্তারপুল অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকা। এখানে জলাবদ্ধতার সংকট রয়েছে, যার কাজও চলমান। পাশাপাশি ভূমি দস্যুদের উৎপাত রয়েছে। এসব ভূমিদস্যু পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখল করেছে, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে, অবৈধ দোকানপাট বসিয়েছে, এমনকি কর্পোরেশনের লাইন থেকে বিদ্যুৎও চুরি করছে। তাদেরকে গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছি এবং এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন করার আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ধুনিরপুল বাজারে কোন গণশৌচাগার নাই। তাই বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য একটি গণশৌচাগার স্থাপনেরও আশ্বাস দেন তিনি।