রাস্তার দুই পাশে গর্ত, ভরাটের দাবি বাঁশখালীর প্রধান সড়কটির

কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী | শনিবার , ২৪ মে, ২০২৫ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সড়কটি বর্তমানে সামান্য সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকলেও চারলেইন ও পূর্ণাঙ্গ সংস্কার অধরাই রয়ে গেল। বাঁশখালীর একমাত্র সড়কটি একদিকে আঁকাবাঁকা অপরদিকে এ সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী। কক্সবাজারগামী ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রগামী গাড়িসহ যত্রছত্র লাইসেন্সবিহীন গাড়ি এবং প্রশিক্ষণহীন চালকের কারণে এ সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনা লেগেই আছে।

প্রধান সরু সড়কটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী গাড়ি চলাচলে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিগত দিনে টানেল চালুর পর আনোয়ারা, বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ক চারলেইন হবে এ স্বপ্নে বিভোর ছিল। সে স্বপ্ন অধরার পাশাপাশি একমাত্র সড়কটি সংস্কার না করায় বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত এবং দুপাশে ভেঙ্গে পড়ছে। বাঁশখালীর প্রধান সড়কের কালীপুরের গুনাগুরীর দীর্ঘ প্রতিদিনের যানজট ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে দুপাশে ভেঙ্গে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে একমাত্র প্রধান সড়কটি সংস্কারহীন থাকায় এবং সড়কের দু,পাশে ভেঙ্গে পড়া দোকান পাঠের অবৈধ দখলের কারণে একদিকে সরু অন্যদিকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে দিন দিন ভোগান্তি বাড়ছে এ সড়কে। বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সড়কের বর্তমানে রিপেয়ারিং (মেরামত) চলছে বলে জানান সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা। তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান রিপেয়ারিং কাজ যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু চলবে। তবে রাস্তার দুই পাশে গর্ত ও মাটি ভরাটের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে কাজ করা হবে। চলমান মেরামত কাজের অংশ হিসাবে পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকায় একটি কালভার্ট করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে এ কাজটি চলমান থাকায় আর চারপাশে কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। সড়কে যে কার্পেটিং করা হচ্ছে তা বৃষ্টির কারণে ব্যাহাত এবং পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করেন চালকেরা। রাস্তা সরু ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারী না থাকায় বাঁশখালী আনোয়ারা সড়কে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা সংঘটিত হলে এ ব্যাপারে প্রশাসন কিংবা ট্রাফিক পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনা। অভিযোগ রয়েছে এ সড়কে সহস্রাধিক লাইসেন্স ও নম্বর বিহীন সিএসজি অটোরিক্সা চলাচল করে বেপোয়ারা গতিতে। যার কারণে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এ সব গাড়ি থেকে মাসিক মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে লাইসেন্স ও নম্বর বিহীন চলাচলের ব্যবস্থা করে একটি মহল। যার কারণে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা
পরবর্তী নিবন্ধলন্ডনে সালমানপুত্র শায়ানের দুই অ্যাপার্টমেন্ট অবরুদ্ধের আদেশ