হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে সারাদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক শানে রেসালত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন, রাসূল (সা.) এর জীবনাদর্শ মানব মুক্তির একমাত্র পথ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আইয়ামে জাহিলিয়্যাহ, পনের শ বছর আগের পৃথিবী। কোথাও নেই সামান্যতম আলো। সত্য ও সভ্যতার জীবন্ত কবর রচনা করেছিল অসত্য ও অশ্লীলতা। জীবন্ত পুঁতে ফেলা থেকে শুরু করে হেন কোনো অপরাধ নেই, যা তখন ঘটা করে করা হতো না। যেনো মানুষের চামড়ার ভেতর জন্ম নেওয়া একেকটা পশু। পাশবিক–পৈশাচিক সকল মন্দ আচরণ বাসা বেঁধেছিল মানুষের মন–মগজে। খুন, লুণ্ঠন, ছিনতাই, ধর্ষণ হয়ে উঠেছিল তাদের রুটিনওয়ার্ক। পৃথিবীর এ দুর্দশাগ্রস্ত চরম নাজুক পরিস্থিতিতে ‘কুল মাখলুক’ এর জন্যে রহমত হিসেবে প্রেরিত হন মুহাম্মদ (সা.)।
নবীজির প্রচেষ্টাতেই পৃথিবী নতুন রূপ ফিরে পেয়েছে উল্লেখ করে হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী বলেন, নবীজি (সাঃ) এর প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় পাল্টে যেতে থাকে পৃথিবীর রূপ–বৈচিত্র্য। আমূল পরিবর্তন সাধিত হয় পৃথিবীর পূর্বে–পশ্চিমে সমানভাবে। পৃথিবী দেখতে পায় আলোর মশাল, আলোকিত ফোয়ারা। পৃথিবীর যে প্রান্তের যে মানুষই তাকে অনুসরণ করেছে, সেই শান্তির নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।
রাসূলের অনুসরণ–অনুকরণেই মুমিনের সুখ–সমৃদ্ধি উল্লেখ করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর শায়খুল হাদিস আল্লামা উবাইদুল্লাহ ফারুক বলেন, মুমিনের সুখ–শান্তি, সম্পদ–সমৃদ্ধি, সম্মান–মর্যাদা সবকিছুই নির্ভর করে রাসূল সা. এর অনুসরণ–অনুকরণের ওপর। যে ব্যক্তি রাসুলের জীবনকে যতটুকু অনুসরণ করবে, সে ব্যক্তি নিজ জীবনে ততটা সফল ও সার্থক হবে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মোরশেদ আলম, মাওলানা হাসান মুরাদের যৌথ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুফতি আল্লামা জসিম উদ্দিন, করাচিস্থ জামিয়া মাহমুদিয়ার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি নূরুল হক, মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা শোয়াইব জমিরী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, মুফতি মাহমুদ হাসান, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা মীর কাসেম, মাওলানা উসমান ফয়জী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মাহমুদ হাসান ফতেপুরী, মাওলানা শফি, মাওলানা শামসুদ্দোহা চৌধুরী, মাওলানা আহমদ দীদার কাসেমী, মাওলানা আবু তৈয়ব আব্দুল্লাহপুরী, মাওলানা উসমান সাঈদী, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি কুতুব উদ্দিন, ড. নূরুল আবসার আযহারী, মাওলানা ইসমাঈল খাঁন, মাওলানা হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দীন, মুফতি মাহমুদ হাসান গুনবী, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা মীর ইদরিস নদভী, মুফতি আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ নোমানী, মাওলানা ইবরাহীম,ম মাওলানা ইদরিস, আহসান উল্লাহ, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা শোয়াইব বিন ইয়াহইয়া, মুফতি রাশেদুল ইসলাম, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা আনোয়ার শাহ আযহারী, মাওলানা আলমগীর মাসউদ, মুফতি জমির উদ্দিন, মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ প্রমুখ।